শীতকাল মানেই নানাধরনের খাওয়ার দাওয়ার এবং পিকনিক। তবে শীতকাল প্রায় শেষ হলেও এই হালকা শীতে আমাদের সকলেরই মন চায় কিছু নতুনত্ব কিছু খাওয়ার। তবে বর্তমানে নানা শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই আমরা খেতে পারিনা আমাদের পছন্দের খাওয়ার। সেটা খেতেও হবে সুস্বাদু কিন্তু সেটার ফলে আমাদের শরীরের হবে না ক্ষতি। তাই আজ আপাদের সকলের কাছেই আমরা নিয়ে চলে আসে আপনাদের সকলের প্রিয় একটি রেসিপি কিন্তু ভিন্ন প্রক্রিয়ায়।
আজ আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি কড়াইশুঁটির, না না কচুরি এবার কড়াইশুঁটির রুটি। সেটা তৈরি করতে লাগবে না ফোটাও তেল, কিন্তু রুটিটি খেতে হবে সুস্বাদু এবং নরম। তবে কেন কি কি থাকে কড়াইশুঁটিতে? এটি কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? এতে ক্যালরি থাকে কতটা? এই প্রশ্নগুলোই উঠছে তো মাথায় তাহলে চলুন দেখা যাক? জেনে নিই কি কি থাকে কড়াইশুঁটিতে?
কড়াইশুঁটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আন্টি অক্সিড্যান্ট প্রভৃতি এবং এটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও থাকে কম। যার ফলে আপনাদের হজম প্রক্রিয়া এবং হার্ট ভালো থাকে। তাছাড়াও এটি ব্লাড সুগারের রাখে নিয়ন্ত্রণে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দুটি কড়াইশুঁটির রুটিতে ক্যালরি থাকে ২৮০ মতো আর এটিকে ডিম সহযোগে খেলে তাতে ক্যালরির প্রমাণ দাড়ায় ৩৪০। আর তার সঙ্গে যদি থাকে একটি মরশুমি ফল। তবে ৫০০ ক্যালরির মধ্যেই আপনার প্রাতরাশ হবে সম্পন্ন। যা খেতেও হবে দারুন।তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি লাগবে কড়াইশুঁটির রুটি বানানোর জন্য? তাহলে চলুন দেখা যাক কি কি সামগ্রী লাগছে কড়াইশুঁটির রুটি বানানোর জন্য?
সামগ্রী: কড়াইশুঁটি, আটা, কাঁচালঙ্কা, নুন, গোটা জিরে, ধনে, মৌরি, সামান্য টকদই। তাহলে এবার দেরি না করে দেখে নিই কিভাবে বানাবেন আপনারা এই কড়াইশুঁটির রুটি?
আরো পড়ুন: রবিবাসরীয় জলখাবার হোক বা রাতের ডিনার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চিকেন পরোটা! তারিফ পাবেন সবার থেকে
প্রণালি: পরিমাণ বুঝে কড়াইশুঁটি নিয়ে সেগুলিতে ঝাল বুঝে কয়েকটা কাঁচালঙ্কা এবং স্বাদ মতো নুন সহযোগে ভাপিয়ে নিতে হবে। তবে ভাপানো হয়ে গেলেও জলটা ফেলে দেওয়া যাবে না। পরিমাণ বুঝে গুটা জিরে, ধনে, মৌরি সমপরিমাণ নিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। তারপর ভাজা মশলা এবং কড়াইশুঁটি নিয়ে মিক্সিতে পিষে নিন।
তারপর যেই জলে কড়াইশুঁটি ভাপানো হয়েছে সেই জলেই মেখে নিন আটা। তাতে কড়াইশুঁটির স্বাদটাও ঢুকবে আটাতে। চাইলে আটা মাখার সময় আপনি রুটিটিকে আরও নরম বানানোর জন্য দিতে পারেন সামান্য টকদই। এবার আরও ভালো হয় যদি আটা মাখাটি আধঘন্টা রেখে দেওয়া যায়। তারপর লেচি কেটে বানিয়ে ফেলুন রুটি। এই রুটি অন্যান্য বারের মত ফুলে না উঠলেও খেতে হবে খুব সুন্দর, নরম এবং চমৎকার। আর তারসঙ্গে যদি থাকে ডিম তাহলে তো জমে যাবে আপনার প্রাতরাশ।