জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) পরাগকে হাসপাতালে রেখে শিমুল চলে এসেছে বাড়ির পরিস্থিতি দেখতে। সেখানে এসেই সে দেখে পুতুল সাজার জন্য জেদ করছে। তখন বাধ্য হয়েই পুতুলকে সাজাতে চলে যায় শিমুল। কিন্তু শিমুল আসার ওপরও পুতুল নানাভাবে শিমুলকে ব্যতিব্যস্ত করতে থাকে। তাকে একথা ওকথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে। বেশ কিছুক্ষন এরকম হওয়ার পরই নিজের ধৈর্য্য আর ধরে রাখতে পারেনা শিমুল। পুতুলকে বল চুপচাপ সেজে নিতে।
সেটা দেখে খুব অবাক হয় পুতুল। তখনও ঘরে চলে আসে তুতুলও। শিমুলকে পুতুলের ওপর রাগ করতে দেখে অবাক হয় সেও। শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন আজ এত রেগে যাচ্ছে, সে তো কখনও এরকম করে না। শিমুলের আচরণ দেখে খটকা লাগে তুতুলের। কিন্তু শিমুল তাকে জানায় কিছুই হয়নি আর তারা পুতুলকে সাজিয়েই বেরিয়ে যাবে। তখন পুতুলকে শিমুল বলে যদি সে ভালোভাবে সেজে না নেই তাহলে সে চলে যাচ্ছে তুতুল তাকে সাজিয়ে দেবে। সেই কথা শুনে পুতুল বলে তাকে চলে যেতে তুতুলই তাকে সাজাবে। তখন শিমুলও বেরিয়ে আসে ওই ঘর থেকে।
বাইরে সুচরিতা তাকে বলে শান্ত থাকতে কিন্তু নিজেকে কিছুতেই শান্ত করতে পারেনা শিমুল। সে ভাবতে থাকে কি করবে এখন সে। তারপর তারা সবাই তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে আসে ব্যানার্জী বাড়ি থেকে এবং চলে যায় হাসপাতালে। কিন্তু সেটা দেখে মধুবালা দেবীও খটকা লাগে বিশেষ। তার চোখ দিয়েও জল বেরিয়ে আসে। যে বৌমা তার ননদকে এত ভালবাসে এমন কি হল যে সেই বউমা আজ তার ননদের বিয়েতে থাকছে না। তখন চলে আসে তীর্থঙ্কর। শুরু হয়ে যায় বিয়ে।
পুতুলকেও নিচে নিয়ে আসা হয় কিন্তু শুভদৃষ্টির সময় পুতুলের চোখ ছলছল করছে দেখে তীর্থঙ্কর তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে তখন পুতুল বলে তার বউ চলে গেছে এবং শিমুল তার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছে এটাও পুতুল জানায় তীর্থঙ্করকে। সবটা শুনে অবাক হয় তীর্থঙ্করও। মধুবালা দেবীও এই অবস্থায় দেখে সকলে তাকে জিজ্ঞাসা করে মেয়ে চলে যাবে বলে কষ্ট হচ্ছে কিনা কিন্তু তিনি বলেন “মেয়ে তো একজন চলে যাবে সেটা জন্ম
দেওয়ার সময় থেকেই জানতাম তবে বউমার কি হল সেটাই চিন্তা।”
ওদিক শিমুলরাও পৌঁছে যায় হাসপাতালে ডাক্তার তাকে জিজ্ঞাসা করে বাড়ির কেউ এসেছে কিনা। তখন শিমুল বলে বাড়িতে ওনার বোনের বিয়ে তাই কাউকে কিছু বলা যাচ্ছে না সে নিজে প্রাক্তন স্ত্রী হিসেবে সই করতে চায়। তারপর তার সব ডকুমেন্ট দেখে তাকে বলে যা ভালো বোঝেন করুন এবং তার কাগজগুলো ডাক্তারের কাছে জমা দিতে বলে। তখন সুচরিতা তাকে নিজেকে সামলাতে বললে সে বলে “আমি এই মানুষটাকে হয়তো পছন্দ করি না তবে আমি কারুর ক্ষতি চাইনি। আমি খালি চেয়েছিলাম ও ওর মতো ভালো থাকুক।” বিপাশা বলে এটাই স্বাভাবিক হওয়া, একজন মানুষই তো মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
তখনই বিপাশা বলে একবার পলাশকে জানতে শিমুল তখন বলে ওর আসতে সময় লাগবে কিন্তু সুচরিতা বলে যদি ও না আসে তবে ভবিষ্যতে ও তোকেই দোষারোপ করবে। তখন শিমুল বলে আমি সই করি তারপর ও আসে আমার নিচে সই করে দেবে। তখন বিপাশা ফোন করে পলাশকে। পলাশ ফোন ধরে কে জিজ্ঞাসা করায়, নিজের নাম বলে বিপাশা এবং সমস্ত পরিস্থিতিও খুলে বলে তাকে। তখন পলাশ জিজ্ঞাসা করে শিমুল সেখানে আছে কিনা তখন বিপাশা বলে আছে এবং সে যেনও তাড়াতাড়ি চলে আসে।
এই বলেই ফোন রেখে দেয় বিপাশা। আর শিমুল ভাবে এত ক্ষণে হয়ত বিয়ে হয়ে গেছে এখন বাড়িতে জানতেই হবে সবটা। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পরাগকে বাঁচাতেই কি তবে শিমুলকে সাহায্য করবে পলাশ?