জি বাংলার (Zee Bangla) বহুল চর্চিত ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Modhu)। উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পারিবারিক ড্রামা ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু। এত ধারাবাহিকের গল্পে পর্ণা আর সৃজনের সম্পর্কের মাঝে কাঁটা হয়েছিল ঈশা। সদ্য তাকে উচিত শিক্ষা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পর্ণা। দত্তবাড়ির সকলকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি ঈশার জন্য। আর দত্তবাড়ির শত্রু ঈশাকে প্রতি পদে সাহায্য করে এসেছে মৌমিতা আর অয়ন। একথা জানার পর জেঠুমণি বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছে তাদের।
এদিকে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্ন সংস্থানটুকু করতে অপারগ মৌমিতা আর অয়ন। শেষমেষ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটাবে ঠিক করেছে দুজন। বেশ কিছুদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটায় তারা। তারপর টাকার লোভ বেড়ে যায় বহুগুণ। টাকার লোভে মৌমিতা আর অয়ন পা দিয়ে ফেলে বিনায়কের ভয়ানক পাচার চক্রে।
এরপর বিনায়কের লোক ছলেবলে বিহারে নিয়ে আসে তাদের। উদ্দেশ্য শুনলে চোখ কপালে উঠবে। অয়নকে অন্ধ করে ভিক্ষাবৃত্তি করাতে চায় তারা। এক জনশূন্য স্থানে এসে চলে চোখ নষ্ট করার কাজ। মৌমিতা আর বর্ষা বারবার অনুরোধ করতে থাকে। কে শোনে কার কথা!
আরো পড়ুন: বিরাট খবর! বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আদৃত-কৌশাম্বী! নিজের মুখেই গোপন তথ্য ফাঁস অভিনেত্রীর
এদিকে সাংবাদিক পর্ণা পুলিশ আর টিম নিয়ে হাজির হয় যথাস্থানে। একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছে অয়ন। পর্ণা পুলিশদের নিয়ে ঠিক সময় না এলে হয়ত আজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যেত অয়ন। তবে যার শেষ ভাল তার সব ভাল। হই হই করে বাড়ি ফিরে আসে পর্ণা, সৃজন, জেঠু, বর্ষা, অয়ন, মৌমিতা সকলে।
এদিকে দত্তবাড়িতে চলছে পুজোর আয়োজন। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে। বর্ষার জন্য এতকিছু। বর্ষাকে ফিরে পেয়ে খুশি কৃষ্ণা। এই প্রথম পর্ণার জন্য মন থেকে খুশি সে। পর্ণা কি পারবে দূরত্ব কমিয়ে শাশুড়ির মন পেতে? না, পর্ণা জন্য মেয়েকে ফিরে পেয়েও তাকে আপন করে নেবে না কৃষ্ণা?