আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি ভারতীয় সংগীতকে (Indian Music) এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি। এই গায়িকা বাংলা ও বাঙালির গর্ব। সবাই অকপটে বলে থাকেন তাঁর গলায় স্বয়ং সরস্বতীর বাস করেন। দেশের যে কোনও সব ভাষাতেই গান গাইতে তিনি সমানভাবে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। তিনি ভারতের অন্যতম সুর সম্রাজ্ঞী শ্রেয়া ঘোষাল।
শ্রেয়া ঘোষালের মতো দারুণ প্রতিভাময়ী ভার্সেটাইল গায়িকা পাওয়া ভীষণ দুষ্কর। তাঁর মেলোডিয়াস ভয়েস মন কেড়েছে বিশ্বব্যাপী। জন্মগতভাবে অবশ্যই তিনি বাঙালি। তবে হিন্দি ভাষা ছাড়াও বাংলা, নেপালি, তামিল, ওড়িয়া, গুজরাতি, মালয়ালম, মারাঠি, কন্নড়, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, তেলুগু, ও অসমীয়াসহ প্রায় ২০টি ভাষায় অসংখ্য গান গেয়েছে।
ছোট থেকেই গায়িকার দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন ছিল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। আর তাই মাত্র চার বছর থেকেই সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। যখন তাঁর ছয় বছর বয়স তখন তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা শুরু করেন। এরপর তিনি অংশ নিয়েছিলেন জিটিভিতে আয়োজিত সারেগামাপা সংগীত প্রতিযোগিতায়। বর্তমানে যে রিয়ালিটি শো’কে স্ক্রিপ্টেড বলা হয় সেই রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চ মাতিয়ে ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল।
১৯৯৯ সালে জি টিভি-র রিয়ালিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়েছিলেন। আজকের দিনের রিয়ালিটি শো-এর মতো এত গ্ল্যামারাস ছিলনা এই অনুষ্ঠান। তবে সেখানে কদর ছিল প্রতিভার। ওই অনুষ্ঠানে শ্রেয়ার বিজয় নজর কাড়ে বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির মায়ের। প্রথম সুযোগ পান বানসালির ছবি দেবদাসে। আর সেখান থেকেই তাঁর জয়যাত্রা শুরু। আর আজ বলা যায় ভারতীয় সংগীতে তিনি নিজেই একটি ইন্ডাস্ট্রি।
আরো পড়ুন: খেল খতম! পরকীয়ায় আসক্ত চন্দনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কড়া শাস্তি দিল বিপাশা! এপিসোড মিস করবেন না
তবে শুধু গান নয় দেখতেও কিন্তু এই গায়িকাকে ভারী মিষ্টি। তাই প্রচুর সময় অভিনয়ের অফার এসেছে তাঁর কাছে। এঈশ্বর প্রদত্ত কন্ঠের জন্যে একাধিকবার জিতেছেন জাতীয় পুরস্কার। আর অন্যান্য পুরস্কার তো আছেই। তাঁর প্রাপ্তির ঝুলি ভরেছে অজস্র পুরস্কারে। জাতীয় পুরস্কার থেকে শুরু করে ভারতবর্ষের অগুণিত পুরস্কারের সম্মানিত হয়েছেন তিনি। আর আজ তার জন্মদিনে আমাদের অফুরান ভালোবাসা তার জন্য।