জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার (Kar Kache Koi Moner Kotha) গল্পে এসেছে নতুন চমক। শশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছে পুতুল। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে শিমুলদের এখানেই চলে এসেছে তীর্থ। মধুবালা দেবী তুতুলের মাকে বলেন “আমার ডান চোখ লাফাচ্ছে কোনও না কোনও সমস্যা নিশ্চয় হবে, জানি না কি বিপদ আসতে চলেছে।” তখন তুতুলের মা তাকে শান্ত করে বলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তখন সেখানে তীর্থকে দেখতে পান মধুবালা দেবী।
তিনি তীর্থর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন কি হয়েছে সে এখানে কেন। তখন তীর্থ সবটা খুলে বলে মধুবালা দেবীকে। ওদিকে পুতুল লোকটিকে বলতে থাকে সে তাকে চেনে যায় তাকে যেতে দিতে কিন্তু লোকটি তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। তখন পুতুল পাড়ার একটি ছেলেকে দেখতে পায় সেখানে। তাকে ডাকে পুতুল। সন্তু আসে সবটা পুতুলের থেকে শুনে রেগে যায় লোকটির ওপর। লোকটি তাকে বলে সে পুতুলের অটো ভাড়া দিয়েছে তখন সন্তু বলে যে তার জন্য তিনিই এরকমভাবে একটি মেয়ের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেনা।
লোকটিকে সন্তু নিয়ে যেতে থাকে পুলিশের কাছে তখন কয়েকজন তাদের দেখে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে, সন্তু তাদের বলে পুতুল অবুঝ মেয়ে তার তাকে ভুল বুঝিয়ে লোকটি নিয়ে যাচ্ছিল। সেটা শুনেই সবাই মিলে মারতে শুরু করে লোকটিকে। এদিকে সবাই যখন পুতুলকে খুঁজছে তখন সন্তুর সঙ্গে পুতুলকে দেখে শিমুল। পুতুল তাদের দেখে বলে কিরকম সারপ্রাইজ দিলাম তখন মধুবালা দেবী তাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন সে এইভাবে এখানে কাউকে কিছু না বলে চলে এসেছে। সন্তুও পুরো ঘটনা যা যা হয়েছে পুতুলের সঙ্গে সবটাই বলে শিমুলকে।
শিমুল তাকে বলে কথা দিতে যাতে সে এরকম কাজ আর না করে, পুতুলও কথা দেয়। তারপর তারা শিমুল আর সকলের অনুষ্ঠান দেখে। তখন পুতুল বলে তার খিদে পেয়েছে, তীর্থ বলে আজ তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠান সে সেখানে খাবে কিন্তু পুতুল বলে সে রাতে সেখানে খাবে এখন বাড়িতেই খাবে। তারপর খাওয়া দেওয়া সেরে বিপাশা সহ তারা সকলেই রেডি হতে থাকে চন্দনের আরেক স্ত্রীকে দেখার জন্য। বিপাশা বলে এবার হয়তো তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয় যাবে কিন্তু শিমুল বলে হয়তো উল্টো হবে আরও ভালো হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: জি বাংলা জমজমাট! এবার আসছে অলৌকিক কাহিনীর ওপর নির্মিত ধারাবাহিক! নায়ক চরিত্রে থাকছেন এই দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা
শিমুল বিপাশার থেকে জানতে পারে চন্দন বাড়িতে নেই। সেটা শুনেই সুচরিতা বলে এবার চন্দন হাতেনাতে ধরা পড়বে। এবার তারা চলে যায় সেই বাড়িতে। বাড়ির দরজা নক করলে সেই আওয়াজ শুনে চন্দন বলে হয়তো খাওয়ার দিতে এসেছে। তাই সে তার স্ত্রীকে বলে দরজা খুলতে। আর নিজে ব্যস্ত হয়ে যায় মেয়ের সঙ্গে খেলতে। তখন দরজা খুলে চন্দনের স্ত্রী বাচ্চাকে দেখে অবাক হয়ে যায় বিপাশা। সে কাঁদতে থাকে আর শিমুল তাকে বলে আমি বলেছিলাম তোমায় বিপাশা দি চন্দন দা তোমায় ঠকাচ্ছে। সব প্রমাণিত হয়ে গেল আজ। এবার তাহলে কি করবে বিপাশা?