জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার (Kar Kache Koi Moner Kotha) কাহিনীতে একসঙ্গে অনেকগুলো মোড়। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়েছে পুতুলের এবং অ্যাকসিডেন্ট করে শয্যাশায়ী পরাগ। পুতুলের ফুলশয্যার ঘরে মাথা ব্যাথার নাম করতে চলে আসে রঞ্জা। তীর্থ তাকে ওষুধ দেয় কিন্তু সেই তাও নড়তে চায়না তীর্থর ঘর থেকে। বিরক্ত হয়ে পুতুল বলে “আমার স্যার তো তোমায় ওষুধ দিয়ে দিল, যাও না এবার একঘর থেকে।” সেটা শুনেই রঞ্জা রেগে গিয়ে বলে “দেখছো তীর্থ তোমার বউ কিভাবে আমাকে কথা শোনাচ্ছে।”
তখন তীর্থও বলে ওঠে তাদের সকাল থেকে অনেক খাটাখাটনি গেছে তাই তারা এবার ঘুমোতে চায় তাই পুতুল এই কথা বলেছে। তখন রঞ্জা বলে সেও অনেক কাজ করেছে। তখন পুতুল বলে তাকে অনেক ওষুধ খেতে হয় তাই এখন সে ঘুমাবে। তীর্থও তার কথায় সায় দিয়ে বলে সে যা বলেছে ঠিক বলেছে। এই কথায় শুনেই উঠে যায় রঞ্জা। সে তীর্থকে বলে সেও দেখবে সে কতদিন পুতুলের সঙ্গে থাকতে পারে। তখন তীর্থও উত্তরে বলে যতদিন সে বেঁচে থাকবে, ততদিন সে পুতুলের সঙ্গেই থাকবে।
সে কথাই শুনেই চলে যায় রঞ্জা। পুতুল আর তীর্থও ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকালে ব্যানার্জী বাড়িতে মধুবালা দেবী কথা বলতে থাকেন পরাগের সঙ্গে। তিনি পরাগকে বলেন তার পেনশনের টাকা যতদিন আছে সমস্যা নেই তবে তারপর কি হবেই সেটাই বলা যাচ্ছে না। পরাগকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন সে পায়ে কোনও সান পাচ্ছে কিনা। তখন পরাগ বলে সে তার পায়ে কিছুই অনুভব করতে পেরেছে না। তখনই তিনি বলতে থাকেন তিনি চলে গেলে কি হবে পরাগের। কে দেখা শোনা করবে ওর।
তখন তিনি বলেন “এখন তো শতদ্রুর সঙ্গে শিমুলের তেমন মেলামেশা নেই। আর ও এই পাড়াতেই থাকে তাহলে ওর সঙ্গেই যদি আবার তোর বিয়ে হত।” কিন্তু পরাগ তাকে বাধা দিয়ে বলে শিমুলের সঙ্গে এখন আর তার কোন সম্পর্ক নেই। সে চায়না আর তাদের মধ্যে সম্পর্ক হোক। এখানে শিমুল অনেক অপমানিত হয়েছে আবার ও এই বাড়িতে ফিরে আসে অপমানিত হোক যেটা পরাগ চায়না জানায় পরাগ। তখনই সেখানে মধুবালা দেবীর খোঁজ করতে করতে চলে শিমুল।
আরো পড়ুন: ‘আমার পরনিন্দা পরচর্চা ভালো লাগেনা! তাই ৫০ বছর অভিনয় করার পরও বন্ধু হয়নি ইন্ডাস্ট্রিতে!’ অকপট কল্যাণী মন্ডল
শিমুলকে দেখে মধুবালা দেবী জিজ্ঞাসা করেন পুতুলের কথা। সেও মধুবালা দেবীকে জানায় পুতুল ভালো আছে। তখন মধুবালা দেবী শিমুলকে বলেন পুতুলরা আসলে আসতে। কিন্তু তখন বাধা দেয় পরাগ। সে বলে শিমুল আসলে আরও সমস্যা হবে। সে এও বলে যে পলাশ শিমুলকে দেখলেই অশান্তি শুরু করবে। আরও ঝামেলা হবে। পরাগের তার প্রতি এত চিন্তা দেখে অবাক হয়ে যায় শিমুল। তবে মধুবালা দেবী তাকে অনুরোধ করায় সে রাজি হয়ে যায় আসতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পুরনো সব মান অভিনাম ভুলেই কি আবার কাছে আসবে শিমুল আর পরাগ?