স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে বিয়ে হয়ে গিয়েছে সূর্য ইরার। পরিস্থিতি চাপে পড়ে ইরাকে বিয়ে করেছে সূর্য। মিশকার খপ্পর থেকে বাঁচাতে এক অচেনা অজানা গ্রামে এসে পড়ে। গ্রামবাসীরা বিয়ে কর নয় মর শর্ত রাখে ইরার উপর। আর তারপর ধরে বেঁধে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। যদিও ইরা ডাক্তারবাবুকে কোনো দায়িত্ব নিতে বলেনা। তাকে আশ্বস্ত করে এই বলে যে এবার সে অনেক দূরে চলে যাবে।
কিন্তু সূর্য নিজের কর্তব্য থেকে অনড়। ইরাকে যতদিন সে তার বাবার হাতে তুলে দেবে না ততদিন ইরা সম্মানে তার স্ত্রী হয়ে থাকবে। এদিকে সূর্য, ইরাকে বিয়ের বেশভূষায় ফিরে আসতে হেলথ সেন্টারে ফিরে আসতে দেখে উৎসবে মেতে ওঠে বুধিয়ারা। আর তখন সূর্য জানতে পারে লাবণ্য অর্থাৎ তার মা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু বিয়ের কথা জানতে পেরে চলে গেছে।
তড়িঘড়ি গাড়ি করে ইরাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় সূর্য। সে বুঝতে পারে দেরি করে ফেলেছে সে। তবলার প্রত্যেকটা কথা সত্যি। দীপা এতদিন তার পথ চেয়ে বসে ছিল। অর্জুনকে বিয়ে করেনি। তার বুঝতে ভুলে হয়েছে। কিন্তু যেতে যেতে একটি মন্দিরের সামনে এসে দাঁড়া করায় গাড়ি। ভিতরে গিয়ে দেখে দীপা আর অর্জুনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দীপার সিঁথি ভর্তির সিঁদুর।
ভেঙে পড়ে সূর্য। সূর্যকে এত অসহায় ইরা কোনোদিন দেখেনি। তবে ধাক্কা সামলে উঠে দুজনে মিলে একটি হোটেলে ওঠে সেদিন রাতের মতো। কিন্তু পোশাক বদলে সূর্য ফের বেরোনোর জন্য উদ্যত হয়। কোথায় যাবে ইরাকে বলে না সে। শুধু বলে খবর, পোর্টাল বা নিউজ চ্যানেলে কোনো বেনামি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর নেই। মানে মিশকার বডি মেলেনি। সে বেঁচে আছে।
মিশকার বেঁচে থাকা বিপজ্জনক। সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সে জেলের বাইরে থাকা মানে সূর্য ছাড়া সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বাকি সবাই বিপদে। তাই সে মিশকার খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু পরের দৃশ্যতে দেখতে পাওয়া যায় একগোছা ফুল নিয়ে সে দীপাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। দীপার থেকে মুক্তি চায় সে। তবে শেষমেশ কি দীপার সঙ্গে দেখা হবে সূর্যের?