জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলে এসেছে নতুন চমক। পরাগের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে চলে এসেছে শিমুল। ব্যানার্জী বাড়িতে আসার পর পরাগও নানাভাবে শিমুলকে বোঝাতে থাকে তার চাকরিটা নেওয়ার জন্য যদিও শিমুলকে বারবার বলতে শুরু করে পরাগ। সে বলে আর বেশিদিন তার চাকরিটা থাকবে না। আর সেও কোনদিন চাকরি করতে পারবে না।
পরাগ এও বলে যে শিমুল ছাড়া আর কাউকেই সে বিশ্বাস করতে পারছে না। শিমুল যদি চাকরিটা করে তবে শিমুলও কিছু টাকা পাবে আর তারও কিছুটা সাহায্য হবে। কারন তার ডাক্তারের ওষুধের মূল্য অনেকটা বেশি। আর তার এবং মধুবালা দেবীর পেনশনের যা টাকা ছিল সেটা দিয়েই এখন তাদের চলছে তবে এইভাবে আর কতদিন। মধুবালা দেবীও তখন শিমুলকে বলে এই বাড়িতে ফিরে আসতে।
কারণ তিনি শিমুল ছাড়া আর কাউকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। মধুবালা দেবী এও বলেন যে যদি তার বয়স হচ্ছে, তিনি আর কয়দিনই বা বাঁচবেন তাই তিনি এটা দেখে যেতে চান যে তার ছেলের খেয়াল রাখার মতো একজন রয়েছে। তিনি জানেন শিমুল ভালো মেয়ে এবং তার চলে যাওয়ার পর পরাগ আর এই ব্যানার্জী বাড়িকে সে শক্ত হাতে ধরে রাখবে।
তখন পরাগ তার মাকে বলে তিনি চলে গেলে তার আর নিজের বলে কেউ থাকবে না। কিন্তু এই সমস্ত কথায় কোনও উত্তর দেয়না শিমুল। পরাগ বলে তাকে ভেবে উত্তর দিতে এদিকে বেল কাজ করছে না দেখে নিজে নিজেই উঠতে দিয়ে পড়ে যায় পরাগ। পরাগের আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি তাকে দেখতে ছোট মধুবালা দেবী, কাকিমা। শিমুল যেতে চাইলে বিপাশা তাকে বাধা দিয়ে বলে যদি কেউ কিছু বলে কিন্তু শিমুল বলে এই এইভাবে তাদের উপেক্ষা করতে পারবে না। এইবলে শিমুল চলে যায় এবং পরাগকে তোলে।
পরাগকে মন খারাপ অবস্থায় দেখে সে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? তখন পরাগ বলে তাকে অনুরোধ করে তার চাকরিটা নেওয়ার জন্য। তখন শিমুল তাকে বলে সে রাজি তার চাকরিটা করার জন্য। পরাগ যেন এরকম মন খারাপ হয়ে বসে না থাকে। শিমুল তাকে বলে যা যা নিয়ম আছে, প্রোসেস আছে সবটা যেন পরাগ শুরু করে দেয়। সেই কথা শুনে একটু হাসি ফোটে পরাগের মুখে। সে শিমুলের হাত ধরে নেয় যেটা দেখে অবাক হয়ে যায় শিমুল। তাহলে কি আবার পরাগকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করবে শিমুল?