জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিয়ে ভাঙল বর্ষার! গ্রেফতার অমিবাবু! বর্ষা আর পিকলু কান্ড দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল পর্ণা! নিম ফুলের মধুতে তুলকালাম করা পর্ব

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phuler Madhu) চলে এসেছে এক অন্যরকমের মোড়। ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গেছে বর্ষা। কিন্তু তার বিদায়ের আগেই চলে আসে পুলিশ আসেই বলে অমিবাবু লোকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা হস্তান্তর করেছেন অমিবাবু। সেটা শুনেই অবাক হয়ে যায় সকলে।পর্ণা পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তারা কোন কথা শোনে না পুলিশ।

তারা অমিবাবুকে নিয়ে চলে গেলে নবনীতা অর্ণবকে ফোন করে বলে এই মেয়েকে বাড়িতে না তুলতে। মায়ের কথার ওপর আর কিছুই বলতে পারেনা অর্ণব। সেই জানিয়ে দেয় বর্ষাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে না সে। অর্ণবের মাসিও অর্ণবকে বলে একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখতে। কিন্তু মায়ের কথাকেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে ঠিক করে অর্ণব। পর্ণাও তাকে বলে ২ দিনের মধ্যে সে অমিবাবুকে নির্দোষ প্রমাণ করবে আর তখন অর্ণবকে আসে নিয়ে যেতে হবে বর্ষাকে।

কিন্তু পর্ণার কথাকে তোয়াক্কা না করেই সকলকে নিয়ে চলে যায় অর্ণব। সেইসব দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় বর্ষা। বর্ষার এইরকম পরিস্থিতি দেখে তাকে ধরে পিকলু কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন পর্ণা পিকলুকে বলে বর্ষার চোখের কোণ দুটি ধরে রাখতে আর রুচিরাকে বলে জল নিয়ে আসেতে। তখন কৃষ্ণা বলে ওঠে সবটাই হয়েছে পর্ণার জন্য। কৃষ্ণার কথা শুনে মৌমিতা আর অয়নও এগিয়ে এসে বলে পর্ণার সঙ্গে যে থাকবে সেই বিপদে পড়বে।

জি বাংলা, বাংলা ধারাবাহিক, নিম ফুলের মধু, Zee Bangla, Bengali Serial, Neem Phooler Madhu

 

তখনই পায়ের থেকে জুতো খোলে অখিলেশ দত্ত। যেটা দেখেই চুপ করে যায় অয়ন আর মৌমিতা। তখন জেঠি বলে এইসবে পাত্তা না দিয়ে বর্ষাকে ঘরে নিয়ে যেতে। পর্ণা বর্ষাকে ঘরে নিয়ে যায়। আর মনে মনে ভাবে পিকলু যদি আগে তাকে বলত তাহলে এইসব হত না। তারপর বর্ষার জ্ঞান ফিরে এলে কৃষ্ণাকে বলে পর্ণা আর সৃজন চলে যায় জেলে অমিবাবুর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই গিয়ে অমিবাবু বর্ষার কথা জানতে চাইলে তাকে সবটা খুলে বলে পর্ণা এবং ভরসা রাখতে বলে। তারপর উকিল আসলে পুলিশ জানিয়ে দেয় কাল একেবারে কোর্টের থেকে ছাড়িয়ে নিতে।

আরও পড়ুন: বিশেষ একজনের গালে আবির দিয়ে দোলের বিশেষ দিনে রঙের খেলায় মাতলেন সৌমীতৃষা! কে সেই বিশেষ জন?

বাড়িতে গিয়ে পিকলুর সঙ্গে কথা বলে পর্ণা। তারপর পরেরদিন পর্ণাদের বিরোধী উকিল পর্ণার উকিলকে জানিয়ে দেয় এই কেসটা না লড়তে। মন্ত্রী সুকুমার রায় বলেছেন। তারপর সেখানে পর্ণা আর সৃজন গেলে তাদের বারণ করে দেয় উকিল। আর মনে মনে ভাবে এই শহরের কোন উকিলই তাদের কেস করবে না। ওদিকে বর্ষাকে দেখতে চলে আসে কৃষ্ণা আর বলে সবটা পর্ণার জন্য হয়েছে কিন্তু তখন বর্ষা তাকে বলে দেখ কেমন পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছ তুমি জোর করে। সেই কথা শুনেই অবাক হয়ে যায় কৃষ্ণা। তাহলে কি এবার নিজের ভুল বুঝতে পারবে কৃষ্ণা?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।