Neem Phuler Madhu: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phuler Madhu) দেখা যাচ্ছে অনুভবের ঠিক করে দেওয়া উকিল জানিয়ে দিয়েছে সে এই কেসটা লড়তে পারবে না সেটা শুনে বিরক্ত হয়ে, রাগে সৃজন আর পর্ণা(Parna) বেরিয়ে গেছে অন্য উকিল খুঁজতে। ওদিকে দত্তবাড়িতে খাওয়ায় নিয়ে বর্ষার ঘরে চলে আসে রুচিরা। সে বর্ষাকে বলে কাল থেকে তার কিছু খাওয়া হয়নি তাই সে যেন খাওয়ার খেয়ে নেয়। কিন্তু সে কিছু খাবে না জানিয়ে দেয় রুচিরাকে। তখনই ওই ঘরে চলে আসে পিকলু।
সে রুচিরাকে বলে সে নিজেই বর্ষাকে খাইয়ে দেবে। তারপর রুচিরা চলে গেলে পিকলু বর্ষাকে বলে কিছু খেয়ে নিতে কিন্তু বর্ষা তাকে বলে সে কিছুই খাবে না। আর এখন পিকলু তার কেউ হয়না তাই সে যেন তাকে বিরক্ত না করে। এই কথা বলে খাওয়ারের থালা ছুড়ে ফেলে দিয়ে পিকলুকে ঘরে থেকে বের করে দেয় বর্ষা। পিকলু বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে। ওদিকে উকিল না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে পর্ণা আর সৃজন। কৃষ্ণা তাদের দেখে সৃজনকে জিজ্ঞাসা করে অমিতোষ বাবু কোথায়।
তখন জেঠু তাকে থামিয়ে সৃজন আর পর্ণাকে জিজ্ঞাসা করে উকিল পেয়েছে কিনা তারা। তখন পর্ণা বলে তারা উকিল পায়নি। কেউই অমিতোষ বাবুর কেসটা লড়তে চাইছে না। সেকথা শুনেই গাল মন্দ করতে থাকে কৃষ্ণা পর্ণাকে। তিনি বলেন সবটা পর্ণার জন্য হয়েছে। তাই যে তার বাবাকে ছড়িয়ে আনে আর বর্ষার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পা ধরে বর্ষার সেখানে রেখে আসে। তখন সৃজন বলে পর্ণা কিছুই করবে না। সে অন্তঃসত্ত্বা এটা হয়তো তিনি ভুলে গেছেন আর এই সবটাই হয়েছে তার জন্য।
তিনি একটি মেরুদন্ডহীন ছেলের সঙ্গে জোর করে তাড়াহুড়া করে বর্ষার বিয়ে দিয়েছেন। ছেলের মুখে এই কথা শুনে ভেঙে পড়ে কৃষ্ণা। সে বলে সৃজন বলে গেছে। তখন পর্ণা বলে সে উকিল জোগাড় করে আনবে যে করেই হোক। পরেরদিন সকলেই অপেক্ষা করতে থাকে এটা ভেবে যে পর্ণা উকিল পেল কিনা। তখন বাড়িতে চলে আসে পর্ণা। তাকে দেখে জেঠু জিজ্ঞাসা করে তারা যে বলেছিল উকিল আনবে, তারা উকিল পেয়েছে কিনা। তখন পর্ণা বলে তারা উকিল পেয়েছে। তারপর ধানুর সঙ্গে সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দেয় পর্ণা।
আরো পড়ুন: ‘আর বইব না মিথ্যে বিয়ের নাটক…’ দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য দীপা রূপার কাছে দীপা ফাঁস করল অর্জুন আর তার বিয়ের আসল সত্যি
জেঠু বলে এই পুচকি মেয়েটা পারবে কিনা তখন ধানু বলে সে চেষ্টা করবে। তারপর কৃষ্ণা তাকে অনুরোধ করে অমিতোষ বাবুকে বাঁচাতে। তখন ধানু বলে সে সবটা জানে। তারপর রাস্তায় ধানু পর্ণাকে তার নার্ভাস লাগছে। পর্ণা তখন তাকে বলে সে সাহায্য করবে তাকে। তারপর কোর্টে বিরোধী উকিল পিপি বলেন অমিতোষ বাবু দোষী তাই তার বেল হবে না। কিন্তু ধানু বলে অমিতোষ বাবু সৎ, সে রাঘবের লোন পাস করায়নি তাই তাকে এরকমভাবে ভুগতে হচ্ছে। কিন্তু পিপি তাদের বলার সুযোগই দেয়না আর শেষে অমিতোষ বাবুর বেল মঞ্জুর করা হয়না। তখন পর্ণা ভাবে এইভাবে হবে না তাদের প্রমাণ জোগাড় করতে হবে।