জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পরাগের চাকরি হাতিয়ে ফের নতুন পরীক্ষা শিমুলের জীবনে! বিপাশার ওপর নতুন করে অত্যাচার শুরু করল চন্দন! কী হচ্ছে দুই প্রতিবেশীর জীবনে?

জোরে যার, মুলুক তার। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে এই চিন্তাতেই বিশ্বাসী অধিকাংশ মানুষ। যাদের কাছে লোকবল, ক্ষমতা, অর্থ তারাই প্রভাবশালী। দুস্থদের উপর রাজ করতে চায় প্রভাবশালীরা। কঠিন হলেও, এইটাই বাস্তব। তবে মানুষ চাইলেই যে কোনো অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে পারে। জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) দর্শক প্রতিদিন এমন নিদর্শন দেখছে।

গল্পের নায়িকা শিমুল। তবে ধারাবাহিকে শিমুল ছাড়াও আরেকজন প্রভাবশালী চরিত্র বিপাশা। হাসি-খুশি প্রাণবন্ত একটা মেয়ে। স্বামী, শাশুড়িকে নিয়ে সুখে ঘরকন্না করছিল সে। তবে সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল না বিপাশার কপালে। ঘটনাক্রমে বিপাশা জানতে পারে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। মেয়েটি এই মুহূর্তে সন্তানসম্ভবা।

kar kache koi moner kotha

প্রথমে বিপাশা ভেবেছিল সে আর চন্দনের জীবনে থাকবে না। কিন্তু পরমুহূর্তে সে ভাবে যদি চন্দনের অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে, তবে এরকম একাধিক চন্দন গজিয়ে উঠবে সমাজের বুকে। তাই লড়াই জারি রেখে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যায় সে। ফলস্বরূপ চলতে থাকে অ’ত্যা’চা’র।

ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, বিপাশার বান্ধবীরা ঘরে এসে বিপাশার সঙ্গে গল্পগুজব করছে দেখে মধুরিমা রেগে যায়। সে বলে বিপাশা ঘর জবর দখল করে থাকতে পারে না। আর এই বাড়িতে যখন তখন কারোর প্রবেশাধিকার নেই। বিপাশাও পালটা বলে সে চন্দনের আইনত স্ত্রী। আর আইনের চোখ থেকে দেখলে মধুরিমা চন্দনের কেউ নয়। আর তাই মধুরিমার কথায় এখানে কেউ কর্ণপাত করবেন না।

shimul and bipasha in kar kache koi moner kotha

 

আরও পড়ুনঃ অষ্টমীর আগমনে কপাল পুড়ে ছারখার জি বাংলার তিনটি ধারাবাহিকের! শেষ হবে কী কার কাছে কই মনের কথা?

এদিকে, পরাগের স্কুলের হেডমাস্টার মশাই আসেন মধুবালার কাছে। পরাগের চাকরিটা শিমুলের হাতে হস্তান্তর করে সইসাবুদের পাট চুকেবুকে যাবে আজকে। তিনি খুশি হন, এই দেখে যে পরাগ আর শিমুল এক হয়েছে আরও একবার। এরপর ধারাবাহিকের গল্পে একাধারে পরিবার সামলাবে শিমুল, অন্যদিকে বান্ধবীর ভেঙে যাওয়া ঘর জোড়া লাগবে শিমুল? নাকি মিথ্যে সম্পর্ক ভেঙে বান্ধবী উদ্ধার করে আনবে সে?

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।