জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। ধারাবাহিকে একের পর এক নতুন নতুন চমকের কারণে দর্শকরা কখনওই বিরক্ত হয়নি ধারাবাহিকটি দেখে। ইতিমধ্যেই জোড়া খুনের রহস্যভেদ করার জন্য দায়িত্ব এসে পড়েছে জ্যাস সান্যালের কাঁধে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জ্যাস জানিতে পারে আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছে আর একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রমিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আর বনলতা চক্রবর্তীর সঙ্গেই কথা বলতে থাকে জ্যাস।
যদিও বনলতার সঙ্গে কথা বলে কোন তথ্যই জানিতে পারেনি জ্যাস। জ্যাস ভাবতে থাকে কিভাবে এই কেসের সমাধান করবে। তখনই তার কাছে একটি ফোন। ফোনটা ধরেই খুবই খুশি হয়ে যায় জ্যাস। তাকে এতটা খুশি দেখে স্বয়ম্ভু তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? তখন জ্যাস বলে “দারুন খুশির খবর আছে। আমাদের গরিমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।” এটা শুনে খুব খুশি হয়ে যায় স্বয়ম্ভু। সে বলে “এটা তো দারুন খুশি খবর। চল তাহলে বাড়ি যাই।” এই বলে জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভু রওনা হয় মুখার্জী বাড়ির উদ্দেশ্যে।
ওদিকে মুখার্জী বাড়িতে চন্দ্রবদন বলে “আমার মেয়েটা যে কবে এত বড় হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। এবার ওকে বিদায় দেওয়ার সময় এসে গেছে।” ভাইয়ের মুখে এই কথা শুনে রাজনাথ বলেন “চিন্তা করিস না। সবটা ভালোভাবে হবে আমরা সবাই আছি তো। আর মেয়েদের তো পরের বাড়ি যেতেই হয়।” তখনই চলে সেখানে চলে আসে জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভু। জগদ্ধাত্রী গরিমাকে বলে “এবার তাহলে বরের বাড়ি যাওয়ার সময় আসে গেল।”
আরও পড়ুন- স্টারের নতুন ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা হলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় এই দুই মুখ! নাম জানলে চমকাবেন
এই কথা শুনে লজ্জা পেয়ে চলে যায় গরিমা। তখন জগদ্ধাত্রী বৈদেহিকে বলে আপনি আবার আগের মতো সবার সঙ্গে মিশছেন দেখে ভালো লাগছে। বাড়িতে বিয়ে, উৎসব আর মেহেন্দিকেও বলবেন তারাও যেন অংশগ্রহণ করে। এটা শুনে বৈদেহি হ্যাঁ বলে চলে যায়। জগদ্ধাত্রী ভাবে এবার হয়তো বৈদেহি তাকে বউমা হিসেবে মেনে নিচ্ছে। তখনই সাধু দা জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে জানান প্রমিতার ওপর হাসপাতালে হামলা হয়েছে। এই কথা শুনে জ্যাস বলে “আমি দেখছি।” জ্যাসের মুখ থেকে প্রমিতার নাম শুনে গুঞ্জন তাকে নামটা নিয়ে প্রশ্ন করে।
জ্যাস তাকে জোড়াখুনের কেসের কথা বলে সেখানে থেকে চলে যায়। ওদিকে হাসপাতালে গিয়ে জ্যাস জানতে পারে প্রমিতা কোমায় চলে গেছে। এটা শুনেই জ্যাস ভাবতে থাকে সে কি করবে এবার। তখনই সেখানে চলে আসে বনলতা। তার মাথায় সিঁদুর দেখে জ্যাস তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি বিবাহিত নাকি অভিনয় করেন। সেটা শুনেই বনলতা সিঁদুর মুছে দেয়। সে বলে সে বিবাহিত নয়। জগদ্ধাত্রীর বিষয়টা বেশ গোলমেলে লাগে। সে ভাবে এই মহিলা সুবিধার নয়। ওইদিকে বনলতা জ্যাসকে বলে যে দোষ করেছে সে যেন শাস্তি পায়। তাহলে কি মনে হচ্ছে জোড়খুনের রহস্য ভেদ করতে পারবে জ্যাস সান্যাল?