জি বাংলার (Zee Bangla) বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) চলে এসেছে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে বারবার পর্দায় প্রতিফলিত হয়েছে কৃষ্ণার বিকৃত এবং পুরোনো যুগের চিন্তাধারা। শুধুমাত্র বউমা নয়, নিজের মেয়েকে নিয়েও কখনও ভাবেনি কৃষ্ণা(krishna)। মেয়ে ভালোটা একবারও বোঝার চেষ্টা করেননি তিনি। সবসময় নিজের মেয়েকে তুচ্ছ বস্তুর মতো প্রতিপন্ন করেছে কৃষ্ণা। মেয়ের স্বপ্ন, পছন্দ অপছন্দ সবকিছুকেই জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি চালিয়ে এসেছেন নিজের মর্জি।
পিকলু সঙ্গে বর্ষার মেলামেশাকেও খুবই খারাপ আঙ্গীতে দেখেছেন তিনি। জোর করে বারবার বর্ষার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ভুল পাত্রের সঙ্গে। একজন মেয়ে হয়ে, একজন মা হয়ে তিনি মেয়েকে একটা পণ্য সামগ্রীর থেকে বেশি কিছুই ভাবেনি। এমনকি অর্ণবের মতো একটি ছেলে, যে কিনা নিজের স্ত্রীকে বিয়ের দিন রেখে চলে যায়। নবনীতার মতো একজন খারাপ, নিম্নরুচিসম্পন্ন মহিলার কাছে তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন বর্ষাকে ফিরিয়ে নিতে। এটা জেনেও যে বর্ষা সেখানে কোনভাবেই ভালো থাকবে না।
নিজের দোষটাও তিনি বারবার চাপিয়েছেন পর্ণা(parna)র ঘাড়ে। এছাড়াও নানাভাবে বধূ অত্যাচার করেছেন তিনি। তবে এবার তার কান্ড ছড়িয়ে গেছে সমস্ত মাত্র। পর্ণা কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার তিনি পর্ণাকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বাবুর বাবু চেয়েছিলেন বাবুর মেয়ে নয়। তাই তিনি মেয়ের মুখ দেখবেন না। ধারাবাহিকের এই প্রোমো দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ২০২৪ সালে এসে এই ধরনের চিন্তাধারার মানুষ হয়!
ধারাবাহিকের এই প্রোমোই প্রমাণ করছে আজকের দিনে দাঁড়িয়েও সমাজে কন্যা সন্তানরা বোঝা, তারা অবহেলিত। যেখানে দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, যেখানে এত বিরঙ্গনা নারী জন্মেছেন সেই দেশেই আজও নারীরাই অবহেলিত হবে কেন। তবে সত্যি এটাই এখন মেয়ে হলে অসন্তুষ্ট হয় শশুরবাড়ির লোকজন। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই ঘটে ভ্রূণ’হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ। সেটাই এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে নিম ফুলের মধু।
আরো পড়ুন: পুত্রশোক উধাও, বাড়িতে বসে লুচি-ঘুগনি, মিষ্টি সাটাচ্ছেন পৃথা ম্যাম! হাতেনাতে পাকড়াও করল দীপা! অনুরাগের ছোঁয়ায় বিরাট চমক
সমাজে আজও পুত্র সন্তানের কদর বেশি। সেটাই স্পষ্ট কৃষ্ণার কথায়। কিন্তু কেন? যেখানে মেয়েরা প্লেন চালাচ্ছেন, যুদ্ধ করে দেশ বাচাচ্ছেন এমনকি দেশ চালাচ্ছেন। যেখানে সম্মান, মর্যাদায় একটি মেয়ে কোন অংশে একটি ছেলের থেকে কম নয়। সেখানে কেন মেয়েদের এইভাবে বারবার হতে হয় অবহেলার শিকার! ২০২৪ সালে দাড়িয়ে এখনও এই চিন্তাধারা। সমাজের এইরকম কিছু নিম্ন চিন্তাধারার মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গিই এবার তুলে ধরেছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকটি। এর থেকে কি কোন নিষ্কৃতি নেই? আপনাদের কি মনে হয়?