জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) টিআরপিতে গীতা LLB সঙ্গে টক্কর দিয়ে উঠতে না পারার কারণেই চ্যানেল সিদ্ধান্ত নেয় ধারাবাহিকটির সময় পরিবর্তন করার। গতকাল থেকেই ধারাবাহিক পর্দায় আসতে চলেছে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার বদলে রাত সাড়ে ৯টায়। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে বাড়িতে ফিরে এসেছে পলাশ। বাড়িতে এসেই সে মধুবালা দেবীকে বলে সে হাই কোর্টে আবেদন করে প্রতীক্ষাকে ছড়িয়ে আনছে। প্রতীক্ষা বাড়িতে আসার পর সবাই যেন তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।
তখনই মধুবালা দেবী বলেন তার স্ত্রী এরকম কোনও ভালো কাজ করেনি যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সে আর স্ত্রী দুজনেই এই বাড়িতে থেকে চলে গেলেই ভালো। তখন পলাশ বলে “তুমি এখন তোমার বড় ছেলে আর বড় বউমাকে নিয়ে এসেছ তাই এত সব বলছ তাই তো। তখন পরাগ বলে প্রতীক্ষা যে ভুল করেছে সে কোনদিনও এই বাড়ির কারুর ভালোবাসা পাবে না।” তখন পরাগ বলে “প্রতীক্ষা যা করেছে তোর জন্যই করেছে। তুই যে স্ত্রীর এত বড়াই করছিস তুই ভুলে যাসনা তোর এই স্ত্রীর কিন্তু আরেকটা সর্ম্পক আছে।”
তখন মধুবালা দেবী বলে ওঠেন তার স্ত্রীরও তীর্থের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেও তীর্থকে ঠকিয়েছে। এটা শুনেই রেগে যায় পলাশ। শিমুল পলাশকে বলে তার স্ত্রীর এই বাড়িতে জায়গা হবে না। সে শুনেই আরও রেগে যায় পলাশ আর শিমুলকে মারতে ওঠে। ওখান শিমুলকে বাঁচাতে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পরাগ। কিন্তু খানিকটা ওঠার পরই সে পরে যায়। তখন শিমুল মধুবালা দেবীকে বলে পরাগকে সামলাতে।
তখন মধুবালা দেবীকে পলাশ বলে তাতে এই বাড়ি লিখে দিতে তাহলে সে চলে যাবে কিন্তু মধুবালা দেবী পলাশকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি প্রথমে তার সম্পত্তির ভাগ পুতুলকে দেবেন তারপর পরাগকে আর তারপর যা বাঁচবে পলাশ পাবে। এটা শুনেই আরও রেগে যায় পলাশ। মধুবালা দেবী পরাগকে বলেন পাড়ার লোক জড়ো করতে। এবার পলাশকেও তিনি জেলে পাঠাবেন। সেটা শুনেই রেগে বাড়ি থেকে চলে যায় পলাশ।
আরো পড়ুন: বরের সঙ্গে ভেঙেছে ঘর! চর্চিত প্রেমিক সোহমের সঙ্গে ঘ’নি’ষ্ঠ ছবি শেয়ার করে জন্মদিনে আদুরে বার্তা শোলাঙ্কি
ওদিকে বিপাশাকে থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে চন্দন কিন্তু বিপাশা জানিয়ে দেয় সে এই বাড়িতে আর থাকবে না চন্দনকে ডিভোর্স দিয়ে সে এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। সেটা শুনে চন্দন বিপাশাকে বলে সে ভুল করেছে কিন্তু এত বড় শাস্তি সে ভোগ করতে পারবে না। তখন মধুরিমাও বিপাশাকে বলে থেকে জেতে। কিন্তু চন্দনের মা বলেন বিপাশাকে এই বাড়িতে থাকলে নিজের স্বামীর আরেকটা বিয়ে দেখে থাকতে পারবে না তার থেকে ও যেভাবে ভালো থাকতে চাইছে থাকুক। এদিকে শিমুলের স্কুলের যাওয়ার আগে পরাগ তাকে বলে তার ব্যাংকের সমস্ত কাগজে সই করে দিতে। প্রথমে শিমুল বারণ করলেও পরাগের জোরাজুরি করায় শিমুল রাজি হয়ে যায়। তাহলে কি এবার শিমুলকে ছেড়ে চলে যাবে পরাগ?