দুপুরে ভাত, রাত্রে রুটি। প্রায় সমস্ত বাড়িতেই অলিখিতভাবে চলে এই একই নিয়ম। তবে রাত্রে রুটি করলেই প্রায় সব বাড়িতেই হয় এক সমস্যা। রাত্রে যতই মাপ করে রুটি বানান না কেন, রুটি বেঁচে যায় প্রতিদিন। আবার কখনও যদি বাইরে খেতে যান বা বাইরের খাওয়ার বাড়িতে এনে খাওয়া হয় তখনই বেঁচে যায় বাড়ির তৈরি রুটিগুলো। আবার বাসি রুটি খেলেও অনেকের পেট ভার বা পেট গোলমাল করে। ফলেই খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাড়ির বাসি রুটি খেতে চায়না।
তবে এতটা পরিশ্রম করে তৈরি করা রুটিগুলোকে ফেলে দিতেই মন চায় না। তাহলে এমন কি করবেন যাতে বাড়ির বাসি রুটিগুলো সবাই ভালোবেসেই খেয়ে নেয়? চলুন তবে আজ বাসি রুটি দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় মুখরোচক শিঙাড়া। ছুটির দিনে বা বৃষ্টির দিনে চায়ের সঙ্গে এই মুচমুচে শিঙাড়া খেতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর বানানোও খুবই সহজ। তাহলে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বানাবেন এই শিঙাড়া। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
৪টে বাসি রুটি
২ টেবিল চামচ বেসন
১ কাপ সেদ্ধ আলু
২-৩ কাঁচা লঙ্কা
এক মুঠো ধনেপাতা
আধ চা চামচ কালোজিরে
৪টেবিল চামচ তেল
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
প্রণালি:
প্রথমেই আলুগুলোকে সেদ্ধ করে চটকে নিন। তারপর কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে কাঁচা লঙ্কা এবং কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে নিন। এরপর কড়াইয়ের তেল সামান্য গরম হয়ে এলে তাতে আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিন। তারপর আলুগুলো ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিন। এরপর একটু ভাজা হয়ে গেলে আলুগুলোতে ধনেপাতা কুচি এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ নিয়ে দিন।
আরো পড়ুন: অনেক রকম ভর্তাই তো খেলেন! এবার খেয়ে দেখুন পটলের খোসার ভর্তা! রইল জিভে জল আনা এই রেসিপি
এবার একটি পাত্রে জলের সঙ্গে বেসন গুলে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। তারপর রুটিগুলোকে মাঝখান থেকে অর্ধেক করে কেটে নিন। তারপর রুটিগুলোর অর্ধেক অংশগুলো ভাঁজ করে কোণ বানিয়ে নিন। এবার আলুর পুর ভরে নিন ওই কোণগুলোতে। তবে কোণের নিচের অর্থাৎ তলার অংশটি ভাঁজ করে চেপে শিঙাড়া র মতো ত্রিকোণ করে নিন। এরপর কড়াইয়ে টেল গরম করে বেসনের মিশ্রণটিতে শিঙাড়াগুলো ডুবিয়ে তেল ছেড়ে দিন। তারপর হালকা আঁচে শিঙাড়াগুলো আধ ঘণ্টা ভাজা সোনালীর রঙের হয়ে এলে তুলে নিন। ব্যস তৈরি আপনাদের বাসি রুটির শিঙাড়া।