বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem phooler Madhu)। নতুন নতুন চমকের কারণে ধারাবাহিকটি শুরু থেকে মন জয় করেছিল দর্শকদের। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে একটানা টিআরপি (Television Rating Point) তালিকাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ধারাবাহিকটি।
হাসি-মজা, সংসারিক সম’স্যা, পরিবারের একতা, সবই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকটিকে পর্ণা পরিবারের সকলের জন্য সমস্ত কিছু করলেও গোটা দত্ত পরিবারে যে একজন মানুষ শুরু থেকে সবসময়, সমস্ত পরিস্থতিতে নানা কুমন্তব্য শুনেও পর্ণার পাশে থেকেছে, কোন পরিস্থতিতেই পর্ণার ওপর বিশ্বাস হা’রা’ননি সে হল পর্ণার ননদ বর্ষা।
বর্তমানে যেখানে বউদি ননদের কলহ ধারাবাহিক এবং বাস্ত’বেও এক বিরাট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে ধারাবাহিকে বর্ষার মতো একটি ননদের চরিত্র সত্যি আদর্শ। মা, দাদা গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েও বর্ষা হাত ছাড়ে’নি নিজের বৌদিভাইয়ের। পর্ণাকে সাহায্য করার জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেনি বর্ষা। নিজের পরিবারের জন্য সে বলিদান দিয়েছে নিজের ভালোবাসার। ধারাবাহিকে বর্ষার চরিত্রটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই।
ধারাবাহিকে বর্ষার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শৈলী ভট্টাচার্য। আজ অভিনেত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন জি বাংলার অতি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নম্বর ১ এর মঞ্চে। নিজের পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন তিনি তুল;এ ধরেছেন দিদির সামনে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন ছোটবেলায় পাঠভবন থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পারফমিং আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন “বাবা মায়ের আমি একমাত্র মেয়ে। তবে আমাদের পরিবারের মধ্যে শিল্প চর্চার বিষয়টা আগে থেকেই ছিল।“ অভিনেত্রীর কথায় ৬ বছর বয়স থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। স্কুলে নানা অনুষ্ঠানে নাটকে অংশও নিয়েছেন। তবে নিম ফুলের মধুই তাঁর প্রথম ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেই দর্শকদের কাছে দারুণ প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তিনি। সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জী অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন “শৈলী জীবনে কি ম’নের মানুষ এসেছে?” মুচকি হেঁসে অভিনেত্রী জানান “হ্যাঁ এসেছে। তবে সে এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়।“ অভিনেত্রী শৈলীর অভিনয় আপনাদের কেমন লাগে?