Anurager Chhowa Today Episode: স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। ধারাবাহিকের গল্পের নায়িকা দীপা। সুখ আর দীপার জীবন বিপরীতধর্মী শব্দ। জীবনে কোনও কিছুই খুব সহজে পায়নি সে। তার কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনি জনপ্রিয় দর্শক মহলে। সম্প্রতি টিআরপি নিম্নগামী হলেও একসময়ে ৮+ টিআরপি তুলত এই মেগা।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ৫ মে (Anurager Chhowa Today Episode 5 May)
ইতিপূর্বে ধারাবাহিকের দর্শক দেখেছে জেলে যাওয়ার পর অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেছে দীপা। আচমকা এমন হওয়ার কারণ আঁচ করতে পারছিলেন না দর্শক। যেভাবে পরপর মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়ে আসছে দীপা তাতে সাময়িক মানসিক বিকার দেখতে পাওয়া স্বাভাবিক। তবে এদিনের পর্বে দেখা মিলেছে ইচ্ছে করেই পাগলামো নাটক শুরু করেছে দীপা।
মিশকা অবধি পৌঁছতে মোক্ষম চালটি চেলেছে দীপা। আর তার চাল কাজেও আসে। থানা থেকে সোজাসুজি মানসিক হাসপাতালে চালান করা হয় দীপাকে। রাতের বেলা সব কয়েদি ঘুমিয়ে পড়লে চুপিচুপি দীপা আসে মিশকার ঘরে। কথার ছলে বুঝে যায় সে যে ষড়যন্ত্রের শিকার তা ভুল ধারণা নয়। মিশকা, পারিজাত সেন ছাড়াও এই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে আরও অনেকে। বীরের কিছু হলে দীপা মিশকাকে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে আসে।
এদিকে অর্জুন-দীপার বিয়ে রুখে ভিক্টর আর পৃথার আনন্দের অন্ত নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে অবধি গাঁ ঢাকা দিতে চাইছে তারা। তাই ব্যাগপত্তর নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে মা ও ছেলে। আচমকা অর্জুন এসে পথ আটকায়। দীপার এই অবস্থায় কোথায় যাচ্ছেন পৃথা? পৃথা বলে, তার দিল্লিতে একটি নাচের শো রয়েছে। কথা দেওয়া, টাকা নেওয়া। না গেলে বিস্তর বদনাম কুড়োতে হবে। আর শো পাবেন না তিনি।
তারপরই ইন্সপেক্টর এসে হাজির হন সাফ জানিয়েদেন দীপা মজুমদার পাচারের দায়ে জেল খাটছে। তার কেসটি কোর্টে তোলা হবে।। শুনানি চলাকালীন ওই বাড়িতে উপস্থিত কোনও ব্যক্তি শহরের বাইরে তো দূর, বাড়ির বাইরে গেলেও স্পেশাল পুলিশি পারমিশন করে নিতে হবে। তারপরই হয় দৃশ্য বদল।
এদিন দীপার কেস চালান করা হয় কোর্টে। পারিজাত সেন হাজির তার উকিলকে নিয়ে। প্রথম থেকেই উকিল আওয়াজ উঁচিয়ে দীপার উপর একাধিক ভিত্তিহীন আরোপ লাগাতে থাকে। যেমন প্রথম আরোপটি হল বীরকে খুন করেছে দীপা। নিজের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে প্রথমে বীরকে সে বিক্রি করে। পড়ে প্রমাণ লোপাট করতে খুন করা হয় দীপাকে।
আদালতের অন্দরে দীপার জন্য সরব হয়ে ওঠে গোটা সেনগুপ্ত পরিবার। যদিও আদালতের অবমাননা করা হলেও, একটু হলেও ভয় পেয়ে যায় পারিজাত সেন। খুনের মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আর বাচ্চার পাচারের কলঙ্ক মুছতে এবার দীপার লড়াইটা নিজের জন্য। সে কী পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে?