Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে বাঙালি গৃহিণীদের। মেয়েদের জীবন যুদ্ধ এবং কিছু ক্ষেত্রে সমাজের বিরুদ্ধে গিয়েও বেঁচে থাকার লড়াই বারবার অর্গানিক স্টুডিওর ফুটিয়ে তুলেছে জি বাংলার পর্দায়। প্রতিটি মেয়ের জীবনেই থাকে একটি পৃথক কাহিনী, না বলা কথা, সময় পরিস্থিতির কারণে সে কথাগুলো থেকে যায় অকথ্য। এবার এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে সেটাই পর্দায় নিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী মানালি।
সম্প্রতি আংশিক সমস্যা মিটেছে শিমুলের। শিমুলকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় ধরা পড়েছে পলাশ। জেল বন্দী হয়েছে সে। তবে স্বামী জেলে গেলেও শিক্ষা হয়নি প্রতীক্ষার। এখনও সে চেষ্টা করে যাচ্ছে মধুবালা দেবীকে হাত করার। বারবার মধুবালা দেবীর কানে বিষ ঢেলে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে শিমুলকে বাড়ি থেকে বের করে, ব্যানার্জীর বাড়ির সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করা যায়।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ২৭ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 27 May)
তবে শিমুলের জীবনের কষ্ট আংশিক লাঘব হলেও বিরাট আকারে ঝড় আছড়ে পড়েছে পুতুলের জীবনে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে তীর্থ। গত রাতে হঠাৎ বুকে ব্যাথা শুরু হয় তীর্থর। সে বুঝতে পারে হয়ত তার হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। ঘনিয়ে এসেছে তার শেষ সময়। পুতুলকে তাই সে বলে একটা গান শোনাতে। স্যারের এই পরিস্থিতি দেখে ভেঙে পড়ে পুতুল। সে বারবার বলে রঞ্জা বা শিমুলকে ডাকার কথা কিন্তু কাউকে কিছু জানাতে বারণ করে দেয় তীর্থ।
আরও পড়ুনঃ কেমন জব্দ! জগদ্ধাত্রীর পর এবার মেহেন্দির কাছে জব্দ উৎসব! জ্যাসের সামনেই উৎসবকে উচিৎ শিক্ষা দিল মেহেন্দি
পরেরদিন সকালে হতেই তীর্থকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে পুতুল। রিসেপশনে বারবার বলার শর্তেও কেউ একবারও ফোন করেনি শিমুলকে। ফলেই হাসপাতালে বসেই কাঁদতে কাঁদতে গান গাইতে শুরু করে পুতুল। পুতুলের গান শুনে লোক চলে আসে সেখানে। এরপর রিসেপশনিস্ট গিয়ে ফোন করে শিমুলকে। শিমুল ফোন ধরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পুতুল। তীর্থর অসুস্থতার কথা শুনেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে চলে আসে শিমুল আর পরাগ।
গান গেয়ে টাকা রোজগার করে তীর্থর চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিল পুতুল
ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে পরাগ জানতে পারে তীর্থর হার্টে অনেকগুলো ব্লকেজ রয়েছে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন হবে অনেকগুলো টাকা। নাহলে তীর্থকে আর কোনভাবেই বাঁচানোর সম্ভব হবে না। কথাটা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে পুতুল। শিমুলকে সে বলে সে গান গেয়ে স্যারের জন্য টাকা আনবে। পুতুলের কথাটা শুনেই গানের শো করার পরিকল্পনা করে শিমুল। শিমুলের পরিকল্পনা শুনে ভাবনায় পড়ে যায় পরাগ। তাহলে কি এবার গান গেয়েই সেই টাকা দিয়ে তীর্থর প্রাণ বাঁচাবে পুতুল, আপনাদের কি মনে হয়?