জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাড়িতে ফিরেই প্রতীক্ষার কুকীর্তি ফাঁস করে দিল তীর্থ! কার কাছে কই মনের কথায় জমাটি পর্ব

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। বিয়ের পর মেয়েদের জীবন, তাদের লড়াই সবটাই জি বাংলা তুলে ধরে ধারাবাহিকের মাধ্যমে। শিমুল, বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষার জীবনের নানা লড়াইয়ের কাহিনী দেখানো হয়েছে জি বাংলায়। বিশেষত বিয়ের পর শিমুলের ওপর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, স্বামীর অত্যাচার, স্বামীর পরকীয়া এবং সব কিছু হওয়ার পরও শ্বশুরবাড়ি মাটি কামড়ে ধরে শিমুলের লড়াই সবটাই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকে।

তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। শিমুলের সামনে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। স্বামী বা শাশুড়ি নয়, এবার বিপদে ননদের বড়। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তীর্থর। আর স্বামীর বাঁচাতে ননদের আপ্রাণ চেষ্টা দেখে এগিয়ে এসেছে শিমুল। ডাক্তার জানিয়েছেন এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে তীর্থ। তারা চাইলেই বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন তীর্থকে। কিন্তু সেখানেই হয় আরেক সমস্যা। তীর্থকে ছাড়াতে লাগবে ২৫ লাখ টাকা।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ১২ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today 12 June)

ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে তীর্থকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াতে প্রথমে নিজের বাড়ি বন্দক দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন মধুবালা দেবী। সেই অনুযায়ী কাগজ পত্র তৈরি করে মধুবালা দেবী কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাড়ির কাগজে সই করতে বারণ করে দেয় পলাশ। ফলে বাধ্য হয়ে নিজেদের গয়না বন্দক দেন মধুবালা দেবী এবং শিমুল। তবে নিজেদের সমস্ত গয়না বন্দক দিয়েও ৭ লাখ টাকা কম পড়ে তাদের।

আরো পড়ুন: দারুণ খবর! নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ফিরছেন ‘খেলনা বাড়ি’ খ্যাত বিশ্বজিৎ ঘোষ! নায়িকা চরিত্রে থাকছে আপনাদের প্রিয় মুখ

সমস্ত টাকা নিয়েই তারা চলে যায় হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে শিমুল বরবাদ রিসেপশনিস্টকে অনুরোধ করে তীর্থকে ছেড়ে দিতে। সে এসে তিন দিনের মধ্যে বাকি টাকা দিয়ে যাবে কিন্তু শিমুলের কথা একেবারেই শুনতে চাননা রিসেপশনিস্ট। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভেঙে পড়ে পুতুল। সেখানেই কান্নাকাটি করতে করতে গান গাইতে শুরু করে দেয় সে। মেয়ের কষ্ট দেখে নিজের সামলে রাখতে পারেননি মধুবালা দেবী।

প্রতীক্ষার কুকীর্তি ফাঁস করল তীর্থ?

তবে পুতুলের গান শুনেই বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের সিএও। পুতুলের গান শুনে খুব খুশি হন তিনি। তাকে দেখেই নিজের সমস্ত সমস্যার কথা জানান শিমুল। শিমুলের কথা শুনে বাকি টাকা ছাড় দিয়ে দেন তিনি। এরপর তীর্থকে ছড়িয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে সকলে। কিন্তু তীর্থকে দেখে ভীষণ রেগে যায় প্রতীক্ষা। শিমুলকেও নানাভাবে অপমান করতে শুরু করে সে। তখনই সবাইকে পুরোনো ছবি দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তীর্থ। সেই কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় প্রতীক্ষা। তীর্থকে শায়েস্তা করার জন্য এবার কি করবে প্রতীক্ষা, আপনাদের কি মনে হয়?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।