Jagaddhatri Today Episode: জি বাংলায় (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর শুরুর থেকেই দর্শকদের মনে জয় করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকের কাহিনী মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন কেস আর তার সঙ্গে একের পর এক টুইস্ট সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকটি। দর্শকদের মনেও জায়গা করে নিয়েছে ধারাবাহিকটি।
মাঝে ধারাবাহিকটি নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেললেও নতুন চমকের কারণে আবার খানিকটা বেড়ে গেছে ধারাবাহিকের টিআরপি। এই সপ্তাহে ব্যবধান কমিয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে জ্যাস সান্যাল। বর্তমানে জামাইষষ্ঠীর চমক নিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকটি। জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভুকে যোগ্য সম্মান পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবার কৌশিকীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মেহেন্দি। নিজেদের পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা। এদিকে কাকলি দেবীর ওপর ঝুলছে মৃত্যুর খাড়া। সেই ব্যক্তিকে ধরার জন্য এবার কোমর বেঁধে নেমেছে জগদ্ধাত্রী।
জগদ্ধাত্রী আজকের পর্ব ১৩ জুন (Jagaddhatri Today Episode 13 June)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে কৌশিকী মুখার্জীর কেবিনে চলে আসে আদ্রিজা। দুইজন গুন্ডা নিয়ে আদ্রিজা ঢুকে পড়ে কৌশিকীর কেবিনে। আর আদ্রিজাকে ব্লুটুথের মাধ্যমে ইন্সট্রাকশন দিতে থাকে কাকলি দেবী। কিন্তু কৌশিকীর কেবিনে ঢুকেই আদ্রিজা দেখে সেখানে বসে আসে জগদ্ধাত্রী। জগদ্ধাত্রীকে দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে আদ্রিজার। এরপরই আদ্রিজার থেকে ব্লুটুথ হেডফোনটা নিয়ে নিয়ে জ্যাস।
কাকলি আসল সত্যিটা জেনে গেল জগদ্ধাত্রী
কাকলি দেবীকে জ্যাস জানায় সে তার পাণ্ডুলিপি ইতিমধ্যেই পড়ে ফেলেছে। তিনি আসলে একটা খুন করেছে আর সেই কারণেই এত চিন্তিত হয়ে আছেন তিনি। এই কথা শুনেই চমকে যান কাকলি। তিনি জগদ্ধাত্রীকে বলে তার ওপর যে হামলা করতে পারে সেই বিষয়ে খোঁজ নিতে। এরপর জগদ্ধাত্রীর ওপর হামলা করে গুন্ডারা। তবে তাদের হারিয়ে দেয় জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভু। ওদিকে দীপন মামা বলেন এবার কাকলি মরবেন আগামীকাল কাকলিকে কেউ বাঁচাতে পারবে না আর এটা শুনেই চমকে যায় কাকলি।
আরো পড়ুন: শুরুতেই বয়কটের ডাক! পুবের ময়নার ঝলক দেখে তেড়ে আসলেন বাংলাদেশী নেটিজেনরা
সেখান থেকে বেরোতেই জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে মেহেন্দি জানায় সমস্ত কিছু প্ল্যান অনুয়ায়ী হচ্ছে। সেটা শুনেই খুব খুশি হয় জগদ্ধাত্রী। এদিকে মেহেন্দিকে খুশি দেখে উৎসব জানায় মেহেন্দির যতই বলুক কিন্তু তার শাশুড়ি মা কখনোই স্বয়ম্ভুকে জামাই বলে মেনে নেবে না। তখনই মেহেন্দি বলে তাহলে এবার হোক বাজি যদি মেহেন্দি যেতে তাহলে তাকে সোনার পায়ের নূপুর দিতে হবে। এই শুনে বৈদেহি ভাবতে থাকেন কিভাবে তিনি মেহেন্দিকে জগদ্ধাত্রীর থেকে দূরে করবেন? এবার কি সফল হবে মেহেন্দি আর কৌশিকীর প্ল্যান? আপনাদের কি মনে হয়?