Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো তাদের ব্যতিক্রমী কাহিনীর কারণে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকের কাহিনী নজর কেড়েছিল দর্শকদের। যদিও বিশেভাবে কখনওই টিআরপি তালিকায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি অর্গানিক স্টুডিওর কার কাছে কই মনের কথা। সেই কারণেই ২৩ জুন শেষবারের মতো সম্প্রচারিত হয়ে শেষ হয়ে যাবে শিমুলের কাহিনী।
তবে শেষবেলায় এসেও একের পর এক বিরাট চমক আসছে ধারাবাহিকে। প্রতীক্ষার সত্যি সামনে এসেছে সকলের। স্ত্রীর কুকীর্তির কথা শুনে অবশেষে মায়ের কথা মেনেই প্রতীক্ষাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পলাশ। যদিও সেই কথা শুনেই টনক নড়েনি প্রতীক্ষার। ফলে বাধ্য হয়েই পুলিশের কাছে গিয়ে প্রতীক্ষার নামে লিখিত অভিযোগ জানায় সকলে। এরপরই তুতুলের বিয়ের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয় সকলে। কিন্তু সেখানে সুচরিতা আর বিপাশা আসলেও দেখা মেলেনি শীর্ষার।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ১৮ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 18 June)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে শীর্ষা আসেনি দেখে তার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল, বিপাশা আর সুচরিতা। কিন্তু শীর্ষার বাড়ি যেতেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা সম্মুখীন হন তারা। শীর্ষার খোঁজ করতেই শীর্ষার শাশুড়ি শিমুলকদের জানান শীর্ষার সঙ্গে তারা দেখা করতে পারবে না। শীর্ষা তাদের পরিবারের মান সম্মান সব নষ্ট করে দিয়েছে। শীর্ষার কারণে তারা কেউ সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। তখনই চলে আসে শীর্ষার স্বামী।
মায়ের তালে তালে মিলিয়ে তিনিও বলেন শীর্ষা যে ১ লাখ টাকা দিয়েছিল সেটা ফেরত দিতে। তখনই শীর্ষার কথা ফের জিজ্ঞাসা করে শিমুল। বান্ধবীদের গলা পেয়ে বেরিয়ে আসে শীর্ষা। শিমুল, বিপাশা আর সুচরিতাকে দেখে শীর্ষা জানায় তার ছবি কেউ এডিট করে খুব খারাপ একটি সাইটে শেয়ার করে দিয়েছে। সবটা শুনে শিমুল জানায় আজকাল এগুলো খুব বেশি হচ্ছে। শীর্ষার উচিত পুলিশের কাছে গিয়ে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ করা। শিমুলের কথা শুনে সেরকমই করার সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষা।
পুলিশ গ্রেফতার করতেই মধুবালা দেবীর পা ধরে ক্ষমা চাইল প্রতীক্ষা
শীর্ষার সঙ্গে দেখা করবে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল আর তখনই প্রতীক্ষাকে গ্রেফতার করতে চলে আসে পুলিশ। পুলিশকে সমস্ত প্রমাণ দেখিয়ে দেয় তীর্থ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাশুড়ি মায়ের পা ধরে ক্ষমা চায় প্রতীক্ষা। কিন্তু শিমুল স্পষ্টভাবে মধুবালা দেবীকে জানান যাই হোক না কেন, প্রতীক্ষাকে তিনি যেন সাহায্য না করেন। বড় বউমার কথা শুনে এমনটাই করার সিদ্ধান্ত নেন মধুবালা দেবী। তবে কি এবার খেলা শেষ হল প্রতীক্ষার? আপনাদের কি মনে হচ্ছে আগে কি হবে ধারাবাহিকটিতে?