জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিজের ভুল বুঝতে পেরে পারমিতার কাছে ক্ষমা চাইল হৈমন্তী! ফুলকিতে নতুন চমক

Phulki Today Episode: বর্তমানে বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক জি বাংলার (Zee Bangla) ফুলকি (Phulki)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর থেকেই যত সময় এগিয়েছে ততই বেড়েছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। ফুলকির দুষ্টু মিষ্টি ব্যবহার, রোহিতের প্রতি পাগলের মতো ভালোবাসা আর রুদ্রর কুকীর্তিগুলো বারবার সকলের সামনে নিয়ে আসা সব মিলিয়ে দর্শকদের মনে রাজত্ব করছে ফুলকি। এমনকি পর্ণা আর সৃজনের জুটিকেও দারুণ টক্কর দিচ্ছে রোহিত ফুলকির রসায়ন।

যদিও রুদ্রর সমস্যার হওয়ার পরই পারমিতার দিকে ঘুরে গেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। সেই কলেজ জীবন থেকে পারমিতাকে ভালোবাসে অংশুমান। কিন্তু পারমিতাকে নিজের ভালোবাসার কথা জানানোর আগেই পারমিতাকে নিজের মনের কথা জানিয়ে দেয় তথাগত। বিয়েও করে নেয় তারা। কিন্তু তথার মৃত্যুর পর একেবারে বদলে যায় পারমিতার জীবন। ফুলকির মারফত রায় চৌধুরী বাড়িতে এসে অংশু। পারমিতার জীবনটাকে ফের সাজিয়ে তোলার জন্য ফুলকির সাহায্য পারমিতাকে নিজের মনের কথা জানায় অংশু।

ফুলকি আজকের পর্ব ২১ জুন (Phulki Today Episode 21 June)

তবে অংশুর মুখে ভালোবাসার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নাকচ করে দেয় পারমিতা। অভিমান করে সে রওনা দেয় বাড়ির দিকে। কিন্তু এই সম্পূর্ণ ঘটনাটা ভিডিও করে নেয় রিকি। সঙ্গে সঙ্গে রায় চৌধুরী বাড়িতে গিয়ে সেই হৈমন্তীকে সেই ভিডিওটা দেখিয়ে দেয় রিকি। অংশু পারমিতাকে প্রোপোজ করেছে দেখেই প্রচণ্ড রেগে যান হৈমন্তী। শালিনীও হৈমন্তীকে বলে এবার অংশুর হাত ধরে পারমিতা চলে যাবে। এই কথা শুনেই ওপরে চলে যায় হৈমন্তী।

তখনই পারমিতাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে রোহিত, ফুলকি, লাবু। কারুর সঙ্গে কোন কথা না বলেই নিজের ঘরের দিকে হাঁটতে থাকে পারমিতা। কিন্তু তখনই একটা ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে আসে হৈমন্তী। ব্যাগটা পারমিতাকে দিয়ে তিনি বলেন বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। জেঠুমনির মুখে এই ধরনের কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সকলে। তখনই পারমিতাকে আটকায় ফুলকি সে বলে যা হয়েছে তার জন্য হয়েছে তাই সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। দুই বউমার মুখে এমন কথা শুনে জেঠুমণি বলেন তার বউমারা যে বাড়িতে থাকবে না সেই বাড়িতে তিনিও থাকবেন না।

আরও পড়ুন: ফের বিয়ে হল পলাশের, মা হচ্ছে শীর্ষা, শিমুল! বাকিরা কোথায় ? শেষ হল মনের কথা বলা

পারমিতার কাছে ক্ষমা চাইল হৈমন্তী

জেঠুমণির কথা শুনে পিয়াল বলে ফুলকিই এই বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখে যেখানে ফুলকি, পারমিতা, জেঠুমণি থাকবেন না সেখানে তারাও থাকবে না। এসবটা দেখে অবাক হয়ে যান হৈমন্তী। তিনি ক্ষমা চান পারমিতার কাছে। বাড়ির এইরকম পরিস্থিতি দেখে ঘরে চলে যায় পারমিতা। তথার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে সে। লাবণ্য বারবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে। এইসব দেখে ফুলকিও ঠিক করে নেয় পারমিতার জীবনে খুশি ফিরিয়ে আনবে সে। ফুলকি কি পারবে পারমিতার জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে? জানতে হবে দেখতে থাকুন ফুলকি।

 

TollyTales NewsDesk