আট থেকে আশি তাঁর ভিডিও দেখতে ভালোবাসেন সকলেই। আর সামাজিক মাধ্যমে ব্লগিং শুরু হওয়ার পর মানুষের যেন সামাজিক মাধ্যমের ওপর নেশা বেড়ে গেছে আরও। তেমনই বেড়েছে ব্লগারদের সংখ্যা। তবে সুস্থ কন্টেন্ট তৈরি করেও ভাইরাল হওয়া সম্ভব, সেকথা প্রমাণ করে দিয়েছেন ‘প্রবাসের ঘরকন্না’ মহুয়াদিকে। ফেসবুকে তাকে চেনেননা এমন বাঙালির সংখ্যা বোধহয় সত্যিই হাতেগোনা। তার ভ্লগ মাতিয়ে রাখে সকলকে।
“নমস্কার কেমন আছেন সব্বাই। প্রবাসে ঘরকন্যার আরেকটি ভ্লগে আপনাকে স্বাগত জানাই..” ইউটিউব এবং ফেসবুকে মহুয়াদির গলায় এই কথাগুলো না শুনলে দিন কাটে না অনেকেরই। মেদিনীপুরের এই কন্যা সংসার পেতেছেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। স্বামী সন্তানদের নিয়ে বিদেশ বিভুঁইতে কেমন করে জীবনযাপন করেছেন তিনি, সেই রোজকার গল্পই তিনি তুলে ধরেন ফেসবুক আর ইউটিউবে আর তাতেই ভাইরাল।
চলতি মাসে শুরুতেই দুই বছর পর দেশে ফিরেছেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দেশে ফিরেই তিনি সোজা পৌঁছে গিয়েছেন দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে। ভাইয়ের বিয়ের উপলক্ষেই এত বছর পর দেশে ফিরেছেন মহুয়া। ইতোমধ্যেই বেশ ধুমধাম করে নিয়ে হয়েছে সকলের প্রিয় মহুয়াদির ভাইয়ের। আর সেই আনন্দ অনুষ্ঠানের ফাঁকেই নিজের জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করতে দিদির নম্বর ওয়ানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মহুয়া। প্রোমোতে বেগুন শাড়িতে দেখা গিয়েছে মহুয়াকে। মুখে চওড়া হাসি।
কেন ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার পরিকল্পনা করলেন প্রবাসে ঘরকন্নার দিদি মহুয়া ব্যানার্জী?
দিদির মঞ্চে তিনি জানান “আমার জন্ম মেদিনীপুর টাউনে। আমার বাড়ির সবার পুলিশ তাই আমিও চেয়েছিলাম পুলিশ হতে। এনসিসি, খেলাধুলাতেই বেশি মন ছিল আমার। কিন্তু বাড়ির বড় মেয়ে সেই কারণে বাড়ির লোক আমার সম্বন্ধ দেখা শুরু করে। প্রথমে ২ টো সম্বন্ধ না করে দিয়েছিলাম কিন্তু তারপর আমার যে এখন স্বামী তার সম্বন্ধ আসি। তারা সঙ্গে কথা বলে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল তাই পুলিশ হওয়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে বিয়ে করে নিই। প্রথমে আমরা বেঙ্গালুরুতে ছিলাম তারপর আমার স্বামীর ট্রান্সফার হয়ে যায় ক্যালিফোর্নিয়াতে। সেখান থেকে বছর খানেক পর যখন আসতাম সবাই আমায় জিজ্ঞাসা করত মাছ পাই কিনা? পোস্তর দাম কত? তাই তখন মনে হল এর তো গুটিকয়েক লোকজন এরকম প্রশ্ন তো নিশ্চই আরও অনেক মানুষের আছে। সেই থেকেই ভেবেছিলাম ছোটখাটো ভিডিও করা যায় এই নিয়ে। ”
আরও পড়ুন: ছেলের বয়স সবে ৪ মাস, ফের মা হতে চলেছেন দুর্নিবার-মোহর! বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করলেন নতুন মা!
প্রবাসে ঘরকন্নার কথা শুনে চমকে গেলেন রচনা ব্যানার্জী
তিনি এও বলেন “করোনার সময় আমরা যখন ভারতে আসলাম তখন তো পড়াশোনা সবটা মোবাইলে তখন থেকেই ফোন ধরে ধরে ভিডিও করা শুরু করলাম। আমায় এক পরিচিত সে আমায় এডিটিং শিখিয়ে দিয়েছিল আজও আমি সেইভাবেই এডিটিং করি। এখন আমার প্রায় ২২ লাখ ফলোয়ার।” তখনই রচনা ব্যানার্জী তাকে প্রশ্ন করেন “ওখানে ইলিশ মাছ পাও? কত করে?” উত্তরে মহুয়া জানান “মোটামুটি ৫০০০ টাকা। তাও ফ্রোজেন। সব মাছই ফ্রোজেন। বাঙালি বাজারে কিছু আসলে আমাদের সব বাঙালিদের একটা গ্রুপ আছে তাতে ম্যাসেজ করে দেয় আর সেভাবে নিয়ে আসি। তবে আমি মেদিনীপুরের ফুচকা খুব মিস করে। ফুচকা ক্যালিফোর্নিয়াতে ৫০০ টাকায় ৫টা। তাছাড়া ফিস ফ্রাই পাওয়া যায়না তাই এখন মাছ কিনে এনে সব করে নিজেকেই ভাজতে হয়।” মহুয়াদির কথা শুনে চমকে ওঠেন রচনাও। প্রসঙ্গত, পর্বটি সম্প্রচারিত হবে ২৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায়।
View this post on Instagram