জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki new episode)। দর্শকদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা এই ধারাবাহিকের। অনেক বাধা বিঘ্ন পার হয়ে অবশেষে এক হয়েছে ফুলকি-রোহিত। এই প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় লুট হয়েছে ত্রাণের জিনিসপত্র। ত্রাণের জিনিসপত্র লুট হওয়ায় ক্ষেপে রয়েছে গ্রামবাসীরা। ফুলকির মনে সন্দেহ আদেও কি লুট করেছে ভগবানপুরের মানুষজন। ফুলকির অনুমান সত্যি এর আগেও রুদ্রের বাড়িতে সরকারি ত্রানের জিনিসপত্র দেখেছে দিদি। বাড়ি ফিরে এসে ফুলকি তার অনুমানের কথা সকলকে জানায়। সকলে একজোট হয়ে ঠিক করল, পরের দিন সকাল হতেই ভগবানপুরে গিয়ে সবকিছু দেখাশোনা করবে তারা।
ধারাবাহিকের (Phulki) আগাম পর্বে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি নিয়ে সকালে বেরিয়ে পড়েছে ভগবানপুরের উদ্দেশ্যে। ভগবানপুরে যাওয়ার পথে ফুলকি চিন্তা করতে থাকে ত্রাণ নিয়ে। কেন কেউ ত্রাণ সরিয়ে রাখবে এ নিয়েও কথা ওঠে। এদিকে ভগবানপুরে দাদা ভাইয়ের খবরের লোককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বন্যায় সেখানে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাই দেখতেই সকলে ছুটে গেছে সেখানে। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় রিকি অর্থাৎ রুদ্রর বোন আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। তাকে সেখানে দেখে অবাক হয়ে যায় রোহিত। রিকি জানায় যে দাদাভাই তাকে পাঠিয়েছে এখানে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখার জন্য।
ইতিমধ্যেই সবাই ত্রাণ শিবিরের দিকে এগোতে থাকে। তখনই দাদা ভাইয়ের সেই খবর দেওয়ার লোককে খুঁজে পাওয়া যায়।ভগবানপুরের লোকজন ত্রাণ লুট করেনি। এমনকি ভগবানপুরের মানুষদের কাছে ত্রাণ নেই- এ খবর জানা যায়। হয়তো ভগবানপুরের একদিকে একটি গুদাম রয়েছে সেখানে ত্রাণের সামগ্রী রাখা থাকতে পারে। এসব বিষয়ে আরো বেশি খবর জোগাড় করতে বলে। তবে ফুলকির কাছে এটা স্পষ্ট যে জামাই বাবুই এসব কিছুর পিছনে রয়েছে। ভগবানপুর জামাইবাবুর এলাকা, ত্রাণ চুরি হলেও তার জানার কথা।
আরও পড়ুন: ‘কাজের ফোন আসেনা’, ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়, তবে কাজের জন্য ডাকে না, আক্ষেপ বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের
উল্লেখ্য, প্রাণ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে রুদ্র। ফুলকি দাসের থেকে কোনভাবে হোক তাকে বাঁচতে হবে। এর মধ্যেই ফুলকি রুদ্রর অফিসে গিয়ে হাজির হয়েছে। রুদ্র জানতে চায় কেন ফুলকি তার অফিসে এসেছে। ফুলকি জামাইবাবুকে মনে করিয়ে দেয় আগেও দুবার কিভাবে রুদ্রর মুখোশ খুলে দিয়েছে। এবার যদি জানতে পারে এই ত্রাণ লুঠের পিছনে জামাইবাবু রয়েছে তাহলে কি পরিণতি হতে পারে সে সম্বন্ধে সতর্ক করে দেয়। ফুলকি এই সতর্ক রাগে ফুঁসতে থাকে রুদ্র। পরের দিন সকালে রুদ্রর বাড়ির সামনে প্রচুর লোক নিয়ে জমায়েত করেছে ফুলকি। সকলকে নিয়ে ধর্নায় বসেছে ত্রাণ দিলে তবেই সেখান থেকে উঠবে। রুদ্র ফুলকির এই কাণ্ড দেখে অবাক ও ভীত। তবে কি গ্রামবাসীরা রুদ্রর বাড়ির সামনে ধরনা দিয়ে ত্রাণ ছিনিয়ে নেবে ? কি হবে জানতে হলে দেখতে হবে ফুলকি (Phulki) ধারাবাহিকটি।