জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri new episode)। এই ধারাবাহিকটি কেন্দ্রীয় চরিত্র জ্যাস সান্যাল ওরফে জগদ্ধাত্রী। জ্যাস রূপে লক্ষ্মী গুনে সরস্বতী। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই নিজ হাতে করে সে। যেমন দক্ষ হতে সংসার সামলায়, তেমনি গুলি চালাতেও পারদর্শী। মেনন হামলার ভুয়ো কেসে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বয়ম্ভুকে। ডিপার্টমেন্টে যার স্ত্রীর এত নামডাক তার এরকম অবস্থা! মেনে নিতেই ঘাম ছুটছে দর্শকদের। এদিকে সন্দেহের মুখে স্বয়ম্ভু। স্বয়ম্ভুকে চাপে রেখেছে জগদ্ধাত্রী। কাজ আর ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে কোন টানা পড়েন চায়না।
ধারাবাহিকের (Jagadhatri) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, জগদ্ধাত্রী চিন্তা করতে থাকে সে কি করবে। তার মধ্যেই মেননের জন্য আশীর্বাদে ফুল নিয়ে এসেছে কৌশিকী ও কাঁকন। কাঁকনকে কাঁদতে বারণ করে কৌশিকী। কাকন কে আশীর্বাদী ফুল ছুঁয়ে দিতে বলে মেনন আঙ্কেলের মাথায়। দুজনের মধ্যে ইশারাতেই কথা হয়। মেনে মেননের এর কাছে আসতেই কাঁকন খুব ভেঙ্গে পড়ে। কাকনের মনে পড়ে যায় কিভাবে মেনন আংকেল তাকে বাঁচিয়ে ছিল। এর মধ্যেই ডাক্তার এসে পড়ে ডাক্তার কৌশিককে জিজ্ঞেস করে ভালো আছেন তো কৌশিকী জানাই সে ভালো আছে কিন্তু মেনন কেমন আছে। ডাক্তারবাবু জানায় মেননের অবস্থা আগে থেকে অনেক ভালো। তবে যতটুকু প্রাণ আছে মেননের দেহে তা কাঁকনের জন্যই। কাঁকনের প্রতি ভীষণ টান তার জন্যই হয়তো এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছে মেনন।
উল্লেখ্য, ডাক্তার বাবুকে জোরাজুরি করে মেননকে সুস্থ করে তুলতেই হবে। কৌশিকী জানায় মেনন আসল হিরো ও আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছে। ডাক্তারবাবু জানায় সবটাই ভগবানের ইচ্ছে। কাঁকন মেনন আঙ্কেলের কাছে থাকতে চায়। কাঁকন জানায়, মেনন আঙ্কেলের যারা এমন অবস্থা করেছে তারা যেন শাস্তি পায়। কৌশিকী জানায় তারা শাস্তি পেয়েছে তুমি এসব নিয়ে ভেবোনা। ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয় কাকুলি দেবী। কাকুলী দেবী সাথে দেখা করতে চাইলে, কৌশিকীর বাউন্সাররা তাকে আটকে দেয়। কিন্তু কাকলি দেবী জানায় আমি একজন রাজনীতিবিদ। কৌশিকী বলে, হাসপাতালে এসেও নেতাগিরি করবেন। জগদ্ধাত্রী কথা বলে কৌশিকি বলে আপনার মত বেইমান মানুষ দুটো দেখিনি। জগদ্ধাত্রী আপনাকে এত বড় সমস্যা থেকে বের করল তার সাথেই আপনি এমন করছেন।
প্রসঙ্গত, কাকুলি দেবী জানায় যে চারিদিকে স্বয়ম্ভুর অ্যারেস্টের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। কৌশিকী জানায় আমি এরম কোন খবর পাইনি। আমাদের খবর কাগজে এমন খবর বের হয়নি। কাকুলি দেবী জানান জ্যাস স্যান্যালকে তিনি একটা অফার করেছিলেন। সেই অফার নেয়নি জ্যাস। কাকুলি দেবী বলে কিভাবে তার স্বামীকে বের করে এবার আমি দেখে নেব। কৌশিকী জ্যাসকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে কোথায় আছে সে। জ্যাস কান্নায় ভেঙে পড়ে জানায় সে কিছু করতে পারছে না স্বয়ম্ভুর জন্য। জগদ্বাত্রী বলে, যে স্বয়ম্ভু ডিপার্টমেন্টের এত ভালো অফিসার যে কাজের জন্য গুলি খেয়েছে, সব স্বার্থ ত্যাগ করেছে আজ ডিপার্টমেন্ট তাকে ফাঁসিয়ে দিল। কৌশিকী জানায় ডিপার্টমেন্টকে ফাঁসায় নি, স্বয়ম্ভুকে ফাঁসিয়েছে কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি। জগদ্ধাত্রী জিজ্ঞেস করে কোথায় আছে কৌশিকী এবং সোজা কৌশিকীর কাছে পৌঁছে যায়।
কৌশিকীকে ধরে কান্নাকাটি করে জগদ্ধাত্রী। কৌশিকী জগদ্ধাত্রীকে বোঝায় এমন অনেক পরিস্থিতি জীবনে আসে। জগদ্ধাত্রী স্বয়ম্ভুর জন্য চিন্তা করতে থাকে বারবার বলতে থাকে আমার মনে হচ্ছে আমার জীবন থেকে সব চলে যাচ্ছে। সে সময় জগদ্ধাত্রী কোন কেসের বিরুদ্ধে স্বয়ম্ভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা দেখতে চায় এবং দেখেই চমকে যায়। জগদ্ধাত্রীকে জিজ্ঞেস করে কখন সে ওই স্পেশাল অপারেশন করতে গিয়েছিল। এবার কৌশিকী জগদ্ধাত্রীকে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের শুট টাইমগুলো জানতে বলে। এবার জানতে পারে তিনটে নাগাদই তাদের শুট টাইম। আর মেইল ঢুকেছে তিনটে চুয়াল্লিশে।এত তাড়াতাড়ি কিভাবে সম্ভব। তারা বুঝতে পারে একটা বড় ক্লু মিস করছিল তারা। এবার এই ক্লু নিয়েই মাঠে নামবে জগদ্ধাত্রী। স্বয়ম্ভুকে বাঁচাতে এবার নতুন ক্লু এসেছে জগদ্ধাত্রীর হাতে সেই দিয়েই তবে বাজিমাত করবে? কৌশিকী জগদ্ধাত্রীকে বলে স্বয়ম্ভু জেলে থাকার মানুষ নয় ও এটা ডিজার্ভ করে না। কি হতে চলেছে জানতে হলে দেখতে হবে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকটি (Jagadhatri)