জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। ধারাবাহিককে নতুন নায়ক অনির্বাণ আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে বেড়েছে টিআরপি। রাই ও অনির্বাণের জুটি বেশ পছন্দ দর্শকের! অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে রাই-অনির এক হওয়া দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। রাইকে সমস্ত বিপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে বলেই বদ্ধপরিকর ছিল অনির্বাণ। কিন্তু ফুলশয্যার রাতেই বদলে গেল সে!
নীলুর চক্রান্তে ছাড়খাড় রাইয়ের সংসার!
বিয়ের দিন থেকেই ক্রমাগত লড়ে যাচ্ছে রাই। দিদির বিয়ে আটকাতে ঘুমের ওষুধ খায় নীলু। তবুও অনির্বাণের ভরসায় বিয়ের পিঁড়িতে বসে রাই। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে পা দিতেই অপমানের শিকার হয় সে। বারংবার অনির্বাণ তার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ফুলশয্যার রাতে সেই অনির্বাণ ভুল বুঝল রাইকে।
দিদির সংসার ভাঙতে আড়াল থেকে খেলা শুরু করল নীলু। রাই ও শৌর্য্যের এডিট করা ছবি সে কায়দা করে পৌঁছে দেয় অনির্বাণের হাতে। রাতে রঙিন বাক্সের গিফট খুলতেই অবাক হয়ে যায় অনির্বাণ। রাতারাতি ভুল বোঝে রাইকে। অনির্বাণ বলতে থাকে, রাই তাঁকে ঠকিয়েছে, সে ঠগ! সে
তলে তলে এখনো শৌর্য্যের সঙ্গে সম্পর্ক জারি রেখেছে।
রাইকে একা করে চলে গেল অনির্বাণ!
রাই অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করে, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। কেউ আড়াল থেকে ষড়যন্ত্র করছে রাই ও অনির্বাণের সম্পর্ক ভাঙার জন্য। কিন্তু রায়কে ঘৃনা করতে শুরু করে অনির্বাণ। সে বলে এত কিছুর পরেও রাইয়ের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই! আজ থেকে রাই এবং তাঁর পথ আলাদা। এই বলে ফুলশয্যার রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় অনির্বাণ।
আরও পড়ুন: অহনার নতুন চাল ভেস্তে দিল শ্যামলী! তাকে জ্বালাতে কী পদক্ষেপ নেবে অহনা ?
তার পরের দিন সকালে উঠে রাই জানতে পারে, অনির্বাণ কোথাও একটা বেরিয়েছে। সে তক্ষুনি অনির্বাণের স্টাডি রুমে যায়। আর সেখানেই একটা চিঠি পায় সে। চিঠিতে লেখা ছিল, “আমি অনেক ভাবলাম। আমি বোঝার চেষ্টা করলাম যেটা করছি সেটা ঠিক না ভুল।” রাই চিঠি পড়তে থাকে। সেখানে আরো লেখা “অনেক ভেবে বুঝতে পারলাম আমি একদম ঠিক ভাবছি। আমার ভাবনায় কোন ভুল নেই। তুমি যেটা করলে তার জন্য আমি তোমাকে কোনদিনও ক্ষমা করতে পারব না।” অনির্বাণের চিঠি পেয়ে পায়ের তলার মাটি সরে যায় রাইয়ের।