জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) এতগুলো পর্ব পার করলেও একটু কমেছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। ধারাবাহিকে অভিনেত্রী পল্লবী শর্মার (Pallavi Sharma) দুর্দান্ত অভিনয় দেখে মুগ্ধ ধারাবাহিক প্রেমী গৃহিণীরা। পর্ণার ‘তার কাটা বুদ্ধি’। অন্যদিকে পর্ণাকে জব্দ করার জন্য ঈশা, মৌমিতা আর অয়নের একের পর এক পরিকল্পনা, সব মিলিয়ে পর্দায় জমজমাট নিম ফুলের মধু। তবে বর্তমানে পর্ণা নয়, বুবাইকে নিয়ে জমে উঠেছে নিম ফুলের মধুর গল্প।
নিম ফুলের মধু আজকের পর্ব ২৪ই জুলাই (Neem Phooler Madhu Today Episode 24th July)
বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, আহিরের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে অভিজিৎ। প্রাণের দাদার প্রয়াণের খবর শুনে কোমায় চলে যায় বুবাই। এদিকে নিম্ন আদালতে কেস হেরে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আবেদন করে পর্ণারা। তবে এবার বুবাইয়ের কেস লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ধানসিঁড়ি ওরফে ধানু। কিন্তু শুরুতেই কার্বন কপির তথ্যটিতে বাতিল করে আহিরের উকিল।
বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, পর্ণারা যখন একেবারে দিশাহারা হয়ে পড়ছে, এমন সময় পরিস্থিতিতে জ্ঞান ফিরে আসে বুবাইয়ের। সে জানায় আহির তাকে মেরেছে, এবং সে বলে সব কথা আদালতে বলবে। কথাটা শুনে একেবারেই খুশি হয়নি অয়ন মৌমিতা। এদিকে লাইফ নিউজ থেকে বুবাইয়ের সুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে যায় ঈশা। সে ফোন করে অয়ন আর মৌমিতাকে নিজের বাড়িতে ডাকে। তারপর ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মৌমিতা আর অয়নকে বলে বুবাই যেন কোর্টে না যেতে পারে।
টাকা দেখে মৌমিতা রাজি হয়ে গেলেও ঈশার কথায় রাজি হয়নি অয়ন। তখনই ঈশা বলে বুবাইকে আটকানোর আরও অনেক পদ্ধতি আছে তার কাছে। তাই ভালোভাবে সে যা বলছে সবটা তারা যেন মেনে নেয়। ঈশার হুমকি শুনে রাজি হয়ে যায় অয়নও। পরেরদিন সাংবাদিকদের নিয়ে হাসপাতালে আসে পর্ণা। আর তখন মৌমিতা জানায় বুবাই সাক্ষী দেবে না। কথাটা শুনেই হতাশ হয়ে ফিরে যায় পর্ণা।
আরও পড়ুন: নেশার ঘোরে রাইয়ের সঙ্গে করা অন্যায় শৌর্য্যর কাছে স্বীকার করলো নীলু! সবার সামনে সত্যিটা ফাঁস করে দিল শৌর্য্য
বুবাই একাই সাক্ষী দিতে পৌঁছালো আদালতে আহিরের বিরুদ্ধে। অবশেষে কি নিজের কুকর্মের শাস্তি পাবে কি আহির! আপনাদের কি মনে হচ্ছে! তবে মা বাবা ঈশার কথায় রাজি হলেও রাজি হয়নি বুবাই। সে ঠিক সময়ে চলে যায় কোর্টে। তারপর সে মহামান্য বিচারপতিকে বলে তার অ্যাক্সিডেন্টের জন্য দায়ী আহির ভৌমিক। তবে শুরু আহির একা নয়, আহিরের সঙ্গে একটি মেয়েও ছিল। কথাটা শুনেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন আকাশ দেব ভৌমিক। ছেলেকে কিভাবে বাঁচাবেন সেই রাস্তাই ভাবতে থাকেন তিনি।