জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকের গল্প একেবারেই অন্যরকম ছিল। যেই গল্পে তিন বোনের কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে ঠিকই
যার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে একটা মধ্যবিত্ত সংসার ও দৈনন্দিন জীবন যাপনের ইতিবৃত্ত। সংসারের প্রতিটা মানুষ একে অপরের পক্ষে-বিপক্ষে সব সময়। অন্য দিকে চলছে দুই বোনের তাসের ঘর সাজানোর খেলা। বর্তমানে এই ধারাবাহিক দিচ্ছে জমজমাট পর্ব উপহার দর্শকদের।
‘মিঠিঝোরা’ আজকের এপিসোড ২৬ জুলাই, Mithijhora Today Episode 26 July
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে, দিদির প্রতি প্রতিশোধ নিতে নিজের স্বামী এবং দিদির নকল ঘনিষ্ঠ ছবি তৈরি করে দিদির শ্বশুরবাড়িতে পাঠায় বোন নীলাঞ্জনা। যার ফল ভুগতে হয় রাইকে। এক ঝটকায় অনির্বাণের বিশ্বাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় রায়ের প্রতি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসে রাই। দিদির পরিণতি দেখে আড়ালে হাসে নীলু।
এদিকে বদনাম শুধু রাইয়ের হয়নি হয়েছে শৌর্য্যর। নিজের বদনাম ঘোচাতে এবার উঠেপড়ে লাগে শৌর্য্য।
তাঁর সমানে মনে হতে লাগে ঘটনাটি আর কেউ নয় ঘটিয়েছে নীলু। আর তাই চমৎকার এক ফন্দি আঁটে শৌর্য্য। নিজে গিয়ে নীলুকে হাত ধরে ফিরিয়ে আনে সে। উদ্দেশ্য নীলুর পেট থেকে সব সত্যি কথা বার করা। আর সেটাই এবার করল শৌর্য্য।
এদিকে দেখা যায়, অনির্বাণের মা রাইয়ের সঙ্গে অনির ডিভোর্স পাকা করে ফেলেছে। আর ওই মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলেকে থাকতে দেবেন না তিনি। অনির্বাণ এর হাতপা বাঁধা। বিয়ে ঠেকাতে, রাইয়ের হয়ে কথা বলতে সে আর পারল না। সে নিজেই দ্বন্দ্বের মধ্যে ভুগছে। রাইকে বিশ্বাস করা উচিত নাকি উচিত না! এই ভেবেই সে অস্থির হয়ে উঠেছে।
শৌর্য্য নীলুকে বাড়িতে এনে তাঁর সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতে থাকে। রাত্রিবেলা সেলিব্রেশনের নামে দুজনে মদ্যপান করে। আর নেশার ঘোরে নীলু বলে দেয় রাইয়ের প্রতি প্রতিশোধ নিতে নকল ছবি নিয়ে কারসাজি করেছে সে। রাইয়ের শ্বশুর বাড়ি সেই পাঠিয়েছিল ছবিগুলো তার পার্লারের একটি মেয়ের সাহায্য নিয়ে।শৌর্য্য রীতিমত অবাক হয়ে যায়। দিদির প্রতি নীলুর কতটা হিংসা সেটাই চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মন্দারকে ভালোবেসে ফেলেছে রোহিনী, বুঝে ফেলল অনিকেত-শ্যামলী! মন্দারের কাণ্ডে চমকে উঠল সবাই, কী করল সে?
এদিকে সকালে অনির্বাণের ডিভোর্স নোটিশ এসে পৌঁছয় রাইয়ের কাছে। অন্যদিকে শৌর্য্য পৌঁছায় অনির্বাণ এর কাছে সত্যিটা জানাবে বলে। অনির্বাণকে পুরো ঘটনার রেকর্ডিংটা শোনায় তারপর অনির্বাণ ভেঙে পড়ে সে কি করল রাইয়ের এর সাথে! সে যে অন্যায় করেছে সেটা সে বুঝতে পারে কিন্তু অনির্বাণ এটা বুঝতে পারছে না সে রায় কে কিভাবে ফিরিয়ে আনবে তার কাছে। শেষে দেখা যাবে অনির্বাণ রাইয়ের বাড়ি যায়, রাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইতে। অন্যদিকে রাই বাড়িতে নেই ডিভোর্সের নোটিস হাতে পেতেই সে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তবে নীলুর অপরাধের শাস্তি কি পাবে! শেষমেষ রাইকি তার সংসার নতুন করে ফিরে পাবে!