জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ফুলকি(Phulki)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে বিয়ের (marriage) দিন পারমিতাকে সাথে করে মন্দিরে নিয়ে যায় হৈমন্তী। অন্যদিকে ফুলকি পারমিতার চিন্তায় অস্থির। তার মনে হচ্ছে কিছু একটা অঘটন (incident) ঘটতে চলেছে আর ফুলকির সেই মনে হওয়া অস্বস্তি ই অবশেষে সত্যি হল! আগের পর্বে দেখা গেছে যে পারমিতা ও অংশুমানের বিয়ের দিন পুজো দিতে যাওয়ার নাম করে পারমিতাকে নিয়ে যায় হৈমন্তী।
ফুলকি ২৭ আগস্ট আজকের পর্ব/phulki 27 August episode –
ফুলকি ধারাবাহিককে দেখা যায় যে, মন্দিরে আসার পর পারমিতা হৈমন্তীকে জিজ্ঞেস করে,মা তুমি কী ভাবছো? হৈমন্তী তখন বলে, কী আর ভাববো? ভাবছি তুমি যেন সারাটা জীবন সুখে থাকো। পারমিতা তখন বলে, মা তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো, তাহলে আমার বিয়ের কথা শুনে ওরকম করেছিলে কেন বলতো? তুমি তো আমার সুখই চাও। তখন পারমিতা বলে, আমি আর কী বলব? এরপর পারমিতা শিবের মাথায় জল ঢালে এবং ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে সবকিছু যেন ভালো মতো হয়।
এদিকে হৈমন্তী বলে, ঠাকুর তুমি দেখো আমি যে পাপ কাজটা করছি, সেটা আমি কেন করছি তুমি তো জানো। আমি চাই পারো যেন সব সময় আমার কাছে থাকে। ও যে আমার তথার বউ, আমি চায় না ও আর অন্য কারও বৌ হয়ে যাক, সেই কারণেই আমি পারমিতাকে সব সময় নিজের কাছে রাখার জন্য এই পাপ কাজটা করছি। এরপর দেখা যায় পারমিতার মাথা ঘুরে যায় তখন হৈমন্তী বলে সারাদিন তো কিছু খাওনি তাই এমনটা হচ্ছে, নাও এই জলটা খেয়ে নাও।
ওদিকে দেখা যায় যে ফুলকি আর লাবু ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছে যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয় এবং যেন পারমিতা সুখী হয় তখন প্রদীপটা নিভে যায় এবং তখন লাবু বলে ফুলকি সলতেটা আরেকটু এগিয়ে দাও আমাদের পারোটা যেন সুখী হয়। তখন ফুলকি বলে যে, জেঠুমনিকে একটা ফোন করো না,কিন্তু লাবু বলে, মা তো পারো কে নিয়ে গেছে, মা সময় সম্পর্কে খুব সচেতন, তুমি চিন্তা করো না। মা ঠিক সময় পারোকে নিয়ে চলে আসবে।
এরপর হৈমন্তী এসে নাটক করতে থাকে। সে বলে যে, সে পারোকে খুঁজে পাচ্ছে না। পারো কোথায় হারিয়ে গেছে? পারো নাকি তাকে বলেছে যে, সে বাড়ির পথে এগোচ্ছে কিন্তু তারপর তাকে আর খুঁজে পাচ্ছে না। মাস্টারমশাই এই কথা শুনে খুব রেগে যায় আর বলে, তুমি মেয়েটাকে সাথে করে নিয়ে গেলে আর বলছ খুঁজে পাচ্ছি না! এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কাজ তুমি কী করে করতে পারো? আজ মেয়েটার বিয়ে, লগ্নের আগে কীভাবে খুঁজে পাব মেয়েটাকে?
আরও পড়ুন: বড় পরীক্ষার মুখে মধুবনী! মিহিরের আসল মা নয় সে, ঋকের সামনে ফাঁস হলো বড় সত্যি
ওদিকে অংশুমান এসে সবটা জানতে পেরে গেছে। পরিবারের প্রত্যেকে নিজের নিজের মত চিন্তা করছে পারোকে নিয়ে। ফুলকি বলছে, দিদিভাইয়ের কিছু হয়ে গেল না তো? ধানু বলছে, বৌদির গায়ে তো অনেক গয়না ছিল কেউ কিডন্যাপ করল না তো? সে পারমিতাকে খুঁজতে যাবে। রোহিতও তার সাথে যায়,অংশুমানও চেষ্টা করতে থাকে পারমিতাকে খোঁজার। তখন ফুলকি বলে যে রিকশায় চেপে জেঠু মনি গিয়েছিল সেই রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলেই তো হয়!- তো মনে হচ্ছে এই রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে ক্লু পেয়ে যাবে ফুলকিরা।