জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ডিভোর্সি মানেই সুযোগ নেওয়া যায়…?’ মি-টু আবহে সরব মধুমিতা, সমাজমাধ্যমে জানালেন জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা

ছোটপর্দার একসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। দর্শকরা এখনও তাকে মনে রেখেছে ‘পাখি’ বা ‘ইমন’ হিসেবে। স্টার জলসার (star jalsha) ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ (Bojhena se bojhena) ধারাবাহিকটির মাধ্যমে দর্শকমহলে পরিচিত পান অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয় এই ধারাবাহিক। এরপর ‘কুসুম দোলা’ (Kusum Dola) ধারাবাহিকে ইমন চরিত্রটি করেও জনপ্রিয়তা পান মধুমিতা। তারপর আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। এরপর মধুমিতা বড়পর্দায় নিয়মিত হয়ে ওঠেন। অভিনেত্রীকে দেখা যায় লাভ আজকাল পরশু, চিনি ,টেংরা ব্লুজ, কুলের আচার, চিনি টু এবং সূর্য্যতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই খুব সক্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। নেটিজেনদের থেকে প্রায়ই কটাক্ষ উড়ে আসে তার ওপর। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ট্রোল হচ্ছেন মধুমিতা। কখনও স্বাধীনতা দিবসের বানান ভুল করার জন্য, তো কখনো এই আর জি কর ঘটনার আবহে রাত্রিবেলা রাস্তায় একা চলার ভিডিও পোস্ট করার জন্য জন্য। এই ভিডিওর জন্য নেট নাগরিকদের প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে যান অভিনেত্রী। অভিনেত্রীকে তাদের প্রশ্ন ছিল তিনি একা থাকলে তার ভিডিওটি করে দিল কে?

Madhumita sarcar

আর জি করের ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদের আবহেই অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় তিনি রাতের অন্ধকারে রাস্তায় একা হাঁটছেন। তিনি ভিডিওতে বলছেন, “এখন রাত দুটো। আর এই সময় আমি নির্জন জায়গায় একা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ কিন্তু আমার দিকে ঘুরে তাকাচ্ছে না। মানে লোক জন আছে। তাদের কেউ কোনও মেয়েকে অ্যাটাক করছে না। পিছন থেকে গাড়ি আসছে দেখতে পাচ্ছ? আমার দিকে কিন্তু কেউ তাকাচ্ছেও না। এটাই তো চাই আমরা মেয়েরা। তাই তো?”। এই ভিডিও নিয়েই ট্রোলিং শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই তাকে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করতে থাকে তিনি একা থাকলে তার ভিডিওটি কে করে দিল? এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন অভিনেত্রী।

madhumita sarcar

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেই ভিডিওতে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি আজকে এই ভিডিয়োটা বানাচ্ছি, কারণ আমি সত্যিই জানি না আমার ঠিক কী করা উচিত। এই যে আমি ইংরেজিতে কথা বলছি, সবাই বলবে দিদি বাংলায় কথা বলতে কী সমস্যা হয়। আবার বাংলায় বললে আমার নন বেঙ্গলি বন্ধু বা অনুরাগীরা বলবে, কী বললে কিছুই বুঝলাম না। যদি শাড়ি পরে পোস্ট করি, বলবে সারাদিন ছোট ছোট জামা পরে, এখন শাড়ি। দিদি তোমার শরীরের বিশেষ অংশগুলো দেখা যাচ্ছে। এই যে বড় বড় মুখ করে কথা বলছি, বলবে ওভার অ্যাক্টিং করছে। আবার আসতে কথা বললে বলবে, ন্যাকামো করছে। আমি ডিভোর্সি, সেই জন্য কেন কোনও ডিভোর্সি মেয়ে যজ্ঞ করছে। তার মানে পুজোও করতে পারব না। আর যদি পুজো করি, তাহলে বলবে আমি যেহেতু অভিনেত্রী, তাই এসব নাকি লোক দেখানো”।

madhumita sarcar

মধুমিতা আরও যোগ করে বলেন, ” মেয়ে বলে সবসময় আমাদের বিচার করা হয়। তারপর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে, কাল ধরুন কেউ আমার শ্লীলতাহানি করল, তখন লোকে বলবে ও তো ডিভোর্সি, একা থাকে, তার মানে এটা তো স্বাভাবিক। সমাজের এই কটুক্তির উপর আর জীবন চলে না। তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেরাই খুঁজে বের করুন”। এই ভিডিওর মাধ্যমে মধুমিতা যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোকে সমর্থন জানিয়েছেন টলি পাড়ার বেশ কিছু অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে আছেন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা দর্শনা বণিক এবং অলিভিয়া সরকার।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।