স্টার জলসার ( Star Jalsha )জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়ার ( Anurager chowya ) দীপা চরিত্র করে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ। এই ধারাবাহিকের দৌলতে প্রচুর মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু অনেকেই জানেন না কী ভয়ংকর লড়াই করে আজকে স্বস্তিকা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন! আজ সকলে তাকে এক নামে চেনে, কিন্তু নিজের এই পরিচয় তৈরি করতে গিয়ে তাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মেয়ে স্বস্তিকা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে প্রথম টলিপাড়ায় পা রাখেন সান বাংলার ‘সরস্বতীর প্রেম’ ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে। এই ধারাবাহিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়াতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে যান। তার জীবনের দ্বিতীয় এই ধারাবাহিক তাকে খ্যাতির সীমায় পৌঁছে দেয়।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে দীপা চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাকে। গল্পের নায়ক সূর্যের স্ত্রী সে। এই ধারাবাহিকে কাজ করেই তিনি একটি সাদা রঙের বলেনো গাড়ি কিনেছেন,যে গাড়ির দাম শুরুই হয় ৬.৪২ লক্ষ টাকা থেকে আর সর্বোচ্চ দাম হয় ৯.৬০ লক্ষ টাকা। গাড়িটি কিনে নিজের ভক্ত মন্ডলীর সাথে সেই সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ যে ধারাবাহিক তাকে পরিচিত এনে দিয়েছে, তাকে এত আর্থিক স্বচ্ছন্দ এনে দিয়েছে, একদিন সেই ধারাবাহিকের মুখ হয়ে ওঠার জন্যই মেয়েটিকে অসম্ভব লড়াই করতে হয়েছে, তখন কেউ তাকে চিনতো না।
ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়াই করতে হয়েছে তাকে। ছোটবেলা থেকে অভিনয় করাটাই ছিল তার স্বপ্ন। ছোটবেলায় যখন রায়দীঘি থেকে নিয়মিত যাতায়াত করে অডিশন দিতে স্টুডিওতে আসতেন তিনি, তখন অনেক রাত তার ষ্টেশন চত্বরেই কেটে যেত। কিন্তু সেই সমস্ত দিনগুলোতে শুধুমাত্র নিজের অদম্য জেদকে সঙ্গী করে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। একবার একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের সেই সব লড়াইয়ের দিনগুলোর কথা তিনি বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: হিংসেকুটি নাম সার্থক!বাবাকে কেড়ে নিচ্ছে মা! কু’বুদ্ধি এঁটে মাকে দুরছাই শুরু সোনার
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘রায়দিঘি থেকে বাবার সঙ্গে অডিশন দিতে আসতাম কলকাতায়। ট্রেনে করে আসতে সময় লাগত তিন ঘণ্টা আবার বাড়ি যেতে আরও তিন ঘণ্টা। এমনও অনেক দিন হয়েছে যে, বাড়ি ফিরতে পারিনি। দু’-তিন বার তো স্টেশনেই রাত কাটাতে হয়েছে।’