জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল মিঠিঝোরা ( Mithijhora )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায়, একদিকে রাইকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে উঠেছে অনির্বাণ। অন্যদিকে রাই কিছুতেই অনির্বাণকে ক্ষমা করবে না। সে নিজের বাড়ি থেকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয় অনির্বাণকে যেটা মানতে পারে না অনির্বাণ। উল্লেখ্য, অনির্বাণ আরও বেশি করে ভেঙে পড়ে।
অনির্বাণ মদ খেয়ে শৌর্য্যকে ফোন করে নিজের মনের কষ্টের কথা বলে, শৌর্য্য তখন বুঝতে পেরে যায় যে অনির্বাণ মদ খেয়ে আছে সে অনির্বাণকে মানা করে এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে এবং সে নিজে চলে যায় তার অনিদার কাছে। অনি তাকে বলে, তুই রাইকে একটু বোঝা, আমি ওকে অপমান করতে চাই নি, রাগের মাথায় হয়ে গেছে, এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শৌর্য্য কিন্তু অনান্যবারের মতই অনিদাকে ধৈর্য্য ধরতে বলে।
শৌর্য্য বলে, সম্পর্কটাকে একটু সময় দিতে। তার বিশ্বাস রাইকে ও নিজেকে যদি অনির্বাণ একটু সময় দেয় তাহলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। অনির্বাণ এই কথাটা শুনে একটু আশ্বস্ত হয় আর সে অফিসে চলে যায় তবে রাইয়ের শরীর খারাপ নিয়ে সে ভাবতে থাকে। অন্যদিকে নীলু রাইয়ের কাছে আসে। রাই তাকে বোঝায়, শৌর্য্যের থেকে এতগুলো বেশি টাকা চাওয়া উচিত নয় একটু কম করে চাইতে। একই সাথে এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে এসে শৌর্য্যকে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলে।
নীলু রাইকে বলে, সে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতেই আজ এসেছে রাইয়ের কাছে। সে বলে, সে একজনকে ভালোবেসে ফেলেছে। রাই তখন বলে, তাই কে সে? আমি কি তাকে চিনি? নীলু তখন বলে, হ্যাঁ, তোর জন্যই তো আমার তার সাথে আলাপ হয়েছে। দর্শক এই কথা শুনেই আন্দাজ করে নিয়েছে নীলু কার কথা বলতে পারে আর এই আন্দাজ থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির পুজোর ১০০ বছর! তিলোত্তমার বিচার চেয়ে মল্লিক বাড়ির পুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন কোয়েল মল্লিক
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন, ”শৌর্য্যকে ছেড়ে দিতে বলে রাই। নীলুকে বলে, ভালো জায়গায় তার বিয়ে দেবে। রাইকে নীলু জানায়, তার একটা ছেলেকে খুব পছন্দ হয়েছে। আমার মনে হয় নীলু অনির্বাণের কথাই বলবে। এটা আগে থেকেই দর্শক জানত। কী পরিমান বেহায়া করে তুলেছে এই চরিত্রটাকে।” তবে অনেকেই বলছেন এপিসোড না দেখে কোন কিছু আন্দাজে বলা ঠিক হবে না। হয়ত সার্থকের কথাও বলতে পারে।