কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে বিপুল জনপ্রিয়তা পান দ্রোণ। থিয়েটার করে তবে টেলিভিশনে সুযোগ পান। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকটি। তবে কি আবার থিয়েটারে ফেরা? অভিনেতা বলেন, “ওটা আগেও ছিল, এখনও শো গুলো পরপর করে যাচ্ছি। আবার থিয়েটারে সময় দিতে পারছি ভেতর থেকে খুব আনন্দ লাগছে।”
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে জোয়ার শুরু হয়েছে, নাট্য দলের নাট্যকর্মীরা গল্প উপস্থাপন করছে দর্শকদের সামনে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন,”একটা সময় কত ভালো ভালো নাটক নিয়ে কাজ হতো। সেগুলো যদি আমরা ছবিতে ট্রান্সলেটের সুযোগ পাই, এটা একটা ডকুমেন্টেশন। যদি শম্ভু মিত্রের নাটক সিনেমা ফরম্যাটে দেখতে পাই, যারা পরবর্তীতে থিয়েটার নিয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য ভালো সুযোগ।” বর্তমান সময়ে থিয়েটার দেখছেন কতসংখ্যক দর্শক? অভিনেতা বলেন, “প্রফেশনাল থিয়েটারের দেড়শো বছর পূর্তিতে অনেক নাট্যদল মিলে উদ্যোগ নেয়, পুরনো মঞ্চ সকল নাটকগুলোকে রিভাইফ করা হচ্ছে।”
দ্রোণের বাবা থিয়েটারের সাথে যুক্ত বহুবছর। মা পেশা শিক্ষিকা। এগুলো আমাকে ছোট থেকে আনন্দ দিয়েছে। বাবার হাত ধরে পাড়ার অনুষ্ঠানের প্রথম স্টেজে ওঠা। সেটা এই অভিনেতার হাতেখড়ি। অভিনেতার কথায়, “আমি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম ওই সময়টার জন্য, কবে রির্হাসাল শুরু হবে। স্টেজে উঠে জিনিসটা হয়তো আমার মধ্যে কোথাও, বেড়ে উঠছিল কিন্তু বড় হয়ে যে আমি প্রফেশনালি এটা, সেটা কেউই বুঝতে পারেনি। পড়াশোনায় বরাবর ভালো ছিলাম বাবা-মা চাই তো ভালো চাকরি করি। সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে, ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলাম। বোলপুর থেকে কলকাতা এসে আমার কাছে সুযোগটা অনেকটা বেড়ে গেল। পড়াশুনার সাথে একটা থিয়েটারের দলে যুক্ত ছিলাম কিন্তু সময় দিতে পারিনি তবে সেটাই আমার প্রথম।”
নিজের কাজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দ্রোণ জানান, “অভিনেতার কাজ করা শুরু একদমই ছোট থেকে। প্রথমে কোন ডায়লগ থাকত না তারপর ধীরে ধীরে আসা। তাই স্টুডিওতে যতবার ঢুকেছি মনে হয়েছে, কিছু না কিছু আমি শিখেছি। সেইরকম করতে করতে প্রথম ছবিতে কাজ পাই।”
আরও পড়ুন: টিআরপির অবস্থা তথৈবচ! বন্ধের মুখে জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান? নাকি রয়েছে আরও বড় কোনও কারণ?
নিজের কাজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দ্রোণ বলেন, “আমি বারবার এটাই মনে করে এসেছি যে আমি আজ পর্যন্ত যে কটা কাজ করেছি, তার মধ্যে বেশ কিছু কাজ আছে কেউ কেউ বলে এই কাজগুলো না করলেও হতো। আমি যা কিছু করেছি তা নিয়ে রিগ্রেট করি না। খুব ছোট ব্যানারের, ছোট একটা কাজ করেছি, আমি মনে করি কোন জিনিস ফেলা যায় না। হতে পারে ওই কাজগুলো আমাকে একটু একটু করে এইখানে আসার জন্য তৈরি করছিল।”