জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ( Kon Gopone Mon Veseche )। অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে এই মেগা।বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, অহনা যে কি তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছে অনিকেত। এদিকে, মন্দারকে দেখে অফিসের মেয়েরা ফিদা হয়ে গিয়েছে। মন্দার অফিসের মেয়েদের সাথে কফি খাবে। তখনই উপস্থিত হয় রোহিনী। অন্যদিকে, শ্যামলীর রান্নায় নুন মিশিয়ে দিয়েছে কেউ একজন, যা শ্যামলী জানেনা।
কোন গোপনে মন ভেসেছে আজকের পর্ব ২১শে সেপ্টেম্বর ( Kon Gopone Mon Bheseche Today Episode 21 September )
এদিন ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায়, অনিকেত শ্যামলীর জন্য একটা গিফট বক্স পাঠিয়েছে। যা দেখে হিংসে হয় অফিসের মেয়েদের। কিন্তু শ্যামলী গিফট বক্স খুলেই দেখে, তাতে লেখা রয়েছে মাংসের নুন বেশি হয়েছে। তার জন্য সে ছুটে ক্যান্টিনে যায়। শ্যামলী অনিকেতকে জিজ্ঞাসা করে এই সমস্যা কি করে তৈরি হলো তখন অনিকেত জানায়, কি করে তৈরি হলো সেই চিন্তা না করে কিভাবে এই সমস্যাটা সমাধান করা যায় সেই চিন্তা করতে। তারা অনেক ভেবে বার করে আলু আর ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে দিলে নুন একজাস্ট হয়ে যায় আর তারা তাই করে কারণ তাদের বস আসার সময় হয়ে গিয়েছে ও তিনি যদি প্রথম দিনেই খারাপ খাবার খান তাহলে ওনার কাছে শ্যামলীদের ইম্প্রেশন খারাপ হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে সকলে ক্যান্টিনে এসে উপস্থিত হয়েছে খাওয়ার জন্য। শ্যামলী স্যারকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি এখন খাবেন কিনা। তিনি জানান তিনি তো দুটোর সময় খান। রান্না কি হয়নি? শ্যামলী তাকে খুশি করার জন্য সুন্দর করে খাবার সাজিয়ে পরিবেশন করে ও মনে মনে মহেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে যাতে তার রান্না বসের পছন্দ হয়।
শ্যামলীর হাতে রান্না খেয়ে কেমন লাগলো স্যারের?
সবাই যখন খাচ্ছে তখন সংযুক্তা মনে মনে ভাবে, যে আজই শ্যামলী অফিস থেকে বিদায় নেবে এবং সে তার বয়ফ্রেন্ডকে এই অফিসের কাজে যুক্ত করবে। কিন্তু তখনই ঘটে যায় মিরাকেল। সকলেই শ্যামলির হাতে রান্না খেয়ে প্রশংসা করে। স্যার বলে ওঠেন সে একদম নুনের পরিমাণটা ঠিক দিয়েছে এবং আরো বেশি করে খেতে চান। এবং পাকাপাকিভাবে শ্যামলীদেরকে খাবারের অর্ডারটা দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ মিঠিঝোরা থেকে বিদায় জনপ্রিয় অভিনেতার! বদলে যাচ্ছে নায়কের মুখ
এই দেখে চোখে জল এসে যায় শ্যামলীর। অনিকেত শ্যামলীকে বলে, যে কান্নাকাটির কিছু নেই আলটিমেটলি তার কোম্পানি তো অর্ডারটা পেল। শ্যামলী অনেকতকে বাড়ি ফিরে যেতে বললে সে যেতে চায় না। শ্যামলী তার ঋণের বোঝা কমানোর চেষ্টা করছে এটা যেন খুশি হয়। অনিকেত জানায়, সে কোম্পানিকে খুব ভালোবাসে, শুধুমাত্র সেই কারণেই শ্যামলীকে সাহায্য করেছে।তারপরেই দেখা যায় মন্দার শ্যামলীকে জানায় অনেকেত এখনো তাঁকেই ভালোবাসে কখনোই কেউ আসতে পারবে না অনেকেত তার শ্যামলীর মাঝে। কিন্তু শ্যামলী জানায়, অনেকেত তাকে ঘেন্না করে। কিন্তু আজ যে পরিমাণে অনেকেত তাকে সাহায্য করেছে তার ঋণ কখনোই শ্যামলী শোধ করতে পারবে না। শ্যামলী কি ধরতে পারবে কে তার রান্না করা খাবারের নুন মিশিয়েছে? জানতে হলে চোখ রাখুন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে।