ভারতের ( India ) একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ( Singer ) হলেন সোনু নিগম ( Sonu Nigam ) । হিন্দি ( Hindi ) ও কন্নড় ভাষায় গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি বাংলা ( Bengali ), উড়িয়া, তামিল, অসমিয়া, নেপালি ও পাঞ্জাবি ছবিতে গান গেয়েছেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের মতো সোনু নিগমও বাঙালির জামাইবাবু। হ্যাঁ গায়কের স্ত্রী বাঙালি কিন্তু অনেকেই জানেন না তাদের এই সম্পর্কে একবার চিড় ধরেছিল।
গায়ক সোনু নিগমের স্ত্রীর নাম মধুরিমা মিশ্র। তিনি একজন আদ্যপান্ত বাঙালি। ভালোবেসে বাঙালি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন গায়ক। তবে একবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে বিয়ের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ভালোবাসার সেই বিয়ে ভেঙে যেতে বসেছিল, তাদের মধুর সম্পর্কের মধ্যে উঠেছিল পরকীয়ার অভিযোগ। কিন্তু মধুরিমা আর সোনুর ভালোবাসার দৃঢ়তার কারণে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙেনি। কী সেই ঘটনা জানেন?
একবার একজন জনপ্রিয় গায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় গায়ক সোনু নিগমের। অভিযোগ ওঠে সেই গায়িকার সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন গায়ক। কিন্তু নিজের বাঙালি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা থেকে বিরত ছিলেন সোনু! কী এমন ঘটেছিল যে কারণে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন গায়ক? এই কথা জানার আগে মধুরিমা এবং সোনুর ভালোবাসার সম্পর্কের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছিল সেটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
পেশায় রেডিও জকি মধুরিমার সাথে এক অনুষ্ঠানে আলাপ হয় সোনুর। সেইসময় রেডিয়োর নানা অনুষ্ঠানে তারকাদের সাক্ষাৎকার নিতেন মধুরিমা, একটি সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে গায়ক সোনুর সাথে আলাপ হয় মধুরিমার। সেই প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তারা। এরপর ২০০২ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন, কিন্তু বছর তিনেক কাটতে না কাটতেই শুরু হয় অশান্তি। ২০০৫ সাল থেকে তাদের সম্পর্কে অশান্তির সূত্রপাত হয়।
এই সময় প্রথম সারির একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় গায়িকা সুনিধি চৌহান ও স্মিতা ঠাকুরের সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গিয়েছে সোনু নিগমের। এতে রেগে যান মধুরিমা এমনকি তারা আলাদা থাকছেন এমন কথাও শুনতে পাওয়া যায় কিন্তু তবুও বিচ্ছেদ হয়নি তাদের শেষ মুহূর্তে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন গায়ক কেন জানেন? একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই বলেছেন সেই কারণ।
আরও পড়ুন: মুসুর ডালে ঝিঙে পড়লে স্বাদ ঝিঙ্গা ‘লা লা’! ট্রাই করুন নতুন রেসিপি
সোনু নিগমের কথায়, “সবটাই ছেলে নিভানের মুখের দিকে চেয়ে। ও বাবা-মা দু’জনকেই চেয়েছিল। যদি নিভান না থাকত আমাদের জীবনে তাহলে হয়তো শ্রদ্ধা সহকারে আমি মধুরিমাকে বলতাম, না এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমার স্ত্রী একজন ভালো মানুষ। তবে সব সময় এই কারণেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে বলে আমি মনে করি না। যদি আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যেত তবে হয়তো ছয় মাস আমি কাজ করতাম। আর বাকি ছয় মাস মায়ের সঙ্গে আমার মামাবাড়ি যা কিনা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত– সেখানে গিয়ে কাটাতাম।” যদিও বর্তমানে বেশ ভালোই আছেন তারা।