জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নন্দিনীর বুদ্ধিকে ডিঙিয়ে আদির রক্ষাকবচ হয়ে উঠলো আনন্দী! জমজমাট পর্ব মিস করবেন না

জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক আনন্দী (Anondi) ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে একের পর এক টুইস্টের মাধ্যমে। মাত্র কয়েকদিন আগে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটি টিআরপি (TRP) তালিকায় ভালো ফলাফল করছে। গল্পের প্রতিটি নতুন মোড়ে দর্শকদের উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে আনন্দী এবং তার পরিবারের সংগ্রাম।

Anandi Today Episode 15th October | আনন্দী আজকের পর্ব ১৫ অক্টোবর

গতকালের পর্বে দেখা গেছে, আনন্দীর বাবার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বিজয়া ফ্রি স্কিমে রোগীরা আর নাম এন্ট্রি করাতে চাইছে না। যারা নাম এন্ট্রি করেছে, তারাও একে একে নাম তুলে নিচ্ছে। কেউই এই স্কিমের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। অন্যদিকে আনন্দী নিজের পরিবারকে রকেটের (Rocket) হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঠাম্মির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নিয়ে সমস্ত ঋণ শোধ করেছে।

Anondi, Bengali Serial, Zee Bangla, Anondi Today Episode, Anondi Today Episode 13th October, আনন্দী আজকের পর্ব ১৩ই অক্টোবর, আনন্দী আজকের পর্ব, আনন্দী, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল

আজকের পর্বে দেখা যাবে, রোগীরা পরপর নাম তুলে নিচ্ছে এবং আদির সামনে আর কোন উপায় নেই। এই অবস্থায় বিজয়াও (Bijoya) তার ছেলের এই অবস্থা সহ্য করতে পারছে না। বাড়ির সবাই মিলে আদির সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করছে। এই সময় আনন্দীর কাছে একটি ফোন আসে এবং সে ছুটে যায় তার নার্সিং সেন্টারে । সেখানে বিমলা নামের এক মহিলার ছেলে ভীষণ অসুস্থ, কারণ তার হৃদয়ে ফুটো রয়েছে। আর্থিক দুরবস্থার কারণে ভালো চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি, তবে এবার অপারেশন না হলে ছেলেটিকে বাঁচানো যাবে না। আনন্দী বিজয়া ফ্রি স্কিমে ছেলের চিকিৎসার পরামর্শ দেয়, যদিও শুরুতে সবাই দ্বিধায় ছিল।

আনন্দী আশ্বাস দেয় যে আদিদেব (Adidev) একজন দক্ষ চিকিৎসক এবং সে সফলভাবে ছেলেটিকে ভালো করতে পারবে। অন্য কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চার লাখ টাকা লাগবে এবং এই টাকা জোগাড় করতে হলে বাড়ি বন্ধক দিতে হবে। তাই আনন্দী বিমলা এবং তার ছেলেকে মেডিনেস হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, নন্দিনী (Nandini) বিজয়া স্কিম বন্ধ করার জন্য আদির উপর চাপ প্রয়োগ করছে। রোগীদের নাম তুলে ধরে সে দেখাতে থাকে কিভাবে রোগীরা একে একে নাম তুলে নিচ্ছে। আদিও প্রথমে নন্দিনীর কথায় রাজি হচ্ছিল না, কিন্তু নন্দিনীর জোরাজুরিতে সে স্কিম বন্ধ করার কথা ভাবতে শুরু করে। ঠিক তখনই বিমলা এবং তার ছেলেকে নিয়ে আনন্দী উপস্থিত হয়। আনন্দী আদির কাছে অনুরোধ করে যাতে ছেলেটির চিকিৎসা করা হয়।

আনন্দীর এই অনুরোধে আদির মনে ভরসা ফিরে আসে এবং সে সাথে সাথে রোগীর নাম এন্ট্রি করে চিকিৎসা শুরু করে। নন্দিনী এই ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় এবং আনন্দীর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প করে। এখন দেখার বিষয়, নন্দিনী এবং আনন্দীর মধ্যে এই লড়াই কোথায় গিয়ে পৌঁছায়।

TollyTales NewsDesk