জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শরীরে বইছে ঠাকুর পরিবারের রক্ত, নাম বদলে হয়েছিলেন আয়েশা সুলতানা, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে হারিয়েছেন তিনি, ব্যক্তিত্বের অপর নাম শর্মিলা ঠাকুর

তিনি এমন এক অভিনেত্রী যার সৌন্দর্য্যকে ছাপিয়ে গেছে ব্যক্তিত্ব। ১৯৪৬ সালের ৮ই ডিসেম্বর ভারতের হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন গীতিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা শর্মিলা ঠাকুর। অভিনেত্রী’র বাবা গীতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন স্বয়ং গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে লতায় পাতায় জড়িয়ে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। আজ সেই কিংবদন্তি শিল্পীর ৮০ তম জন্মদিন।‌

১৯৫৯ সালে সেলুলয়েডের পর্দায় আবির্ভাব হয় ঠাকুরবাড়ির এই সুন্দরী কন্যার। এক ঢাল চুল, আটপৌরে শাড়ি, আর মুখে অনাবিল সারল্য নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের ক্যামেরায় ‘অপুর সংসার’-এর অপর্ণা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রথম সিনেমাতেই মন জিতে নেন সবার। উচ্চ প্রশংসিত হয় ঠাকুরবাড়ির কন্যার অভিনয়। এরপর আর কোনদিনও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

sharmila tagore

অপুর সংসার পরবর্তী দেবী ছবিতেও দারুণ প্রশংসিত হয় অভিনেত্রীর অভিনয়। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে বাংলা থেকে তাঁর ডাক পড়ে স্বপ্ন নগরী মুম্বাইতে। তিনি পাড়ি দেন সোজা আরব সাগরের তীরে। সেখানেই প্রথমবারের মতো ‘কাশ্মীর কি কলি’-তে শাম্মি কপূরের বিপরীতে বলিউডে হাতেখড়ি। তাঁর রূপ, সৌন্দর্য, আবেদন নজর কাড়ে বলিউডের। এরপর ‘অনুপমা’, ‘আরাধনা’, ‘ওয়াক্ত’, ‘চুপকে চুপকে’র মতো একাধিক সিনেমার মুখ হয়ে ওঠেন‌ তিনি।

অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও কখনও সমাজের ভয় পাননি তিনি। নিজের জীবনকে নিজের মতো করে চালনা করেছেন। বারবার ছক ভেঙেছেন। বিকিনি পরিহিতা শর্মিলা ঠাকুরের ছবি আজও ভোলেননি তাঁর ভক্তরা। বলা যায় আইকনিক সেই ছবি। একটি ম্যাগাজিনের জন্য এই পোশাকে ফটোশুট করেছিলেন তিনি। উঠেছিল কটাক্ষের ঝড়। তবে তিনি সেই সব বিতর্ককে পাত্তা করেননি। বারবার ভীষণ সাহসী পদক্ষেপে সবাইকে চমকে দিয়েছেন এই নায়িকা। আজও তাঁর কথাবার্তায় অভিনয় সবেতেই ঝলকে ওঠে তাঁর ব্যক্তিত্ব।

তার ছেলে মেয়ে সবাই বলিউডে প্রতিষ্ঠিত। অভিনেত্রী নিজেও এই বয়সেও বাংলা হিন্দি দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী হিন্দি ছবি রকি অউর রানীর অফারও তাকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন অভিনেত্রী। আর সেই কারণবশতই সিনেমায় আলিয়ার ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করে হয়নি তার। যদিও বর্তমানে একেবারেই সুস্থ তিনি। ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে হারিয়ে আজও ব্যক্তিত্বময়ী শর্মিলা।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।