জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শীতের বেগুন দিয়ে বানান অভিনব বাহারি বেগুন! জমাটি এই রেসিপির রন্ধন প্রণালী জেনে নিন

বাঙালিদের কথায় সবথেকে খাবার খেয়ে সুখ পাওয়া যায় এই শীতকালে। শীতকাল মানেই কেবল গুড় আর মোয়া দিয়েই মোরা থাকে না থাকি এক গুচ্ছ রংবেরঙের শাক সবজির বাহার। কড়াইশুঁটি, বেগুন শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি না জানি আরও কত কি দেখতে পাওয়া যায় সবজির বাজারে। কড়াইশুঁটির কচুরি থেকে শুরু করে ফুলকপির রোস্ট সবকিছুতেই বাঙালির স্বাদ চাই নাম্বার ওয়ান।

কিন্তু এইসব দিক থেকে দেখতে গেলে বেগুন দিয়ে সেই অর্থে তেমন কোনো আলাদা রেসিপি রান্না করা হয় না বাংলার রান্নাঘরে। অথচ, বাঙালির পেটুক মন চায় চেখে দেখতে বেগুনের কিছু বাহারি খাবার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেগুনের এমন এক রেসিপি যার উপকরণ সাধারণ হলেও স্বাদে থাকবে অসাধারণের ছোঁয়া। বেগুনের রেসিপি নাম ‘ বেগুন বাহার’।

এই রান্নার জন্য উপকরণ হিসেবে লাগবে-

লম্বা বেগুন (মাথা থেকে বোঁটা অবধি লম্বাভাবে কেটে নিতে হবে কিন্তু বোঁটা কাটলে হবে না), স্বাদমতো নুন, এক চা চামচ হলুদগুঁড়ো, কালো জিরে, আদা ও রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা-পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, পরিমাণ মতো সর্ষের তেল।

বেগুন বাহারি রান্না করার জন্য প্রথমে বেগুনি নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। এরপর বেগুন গুলিকে কড়াইয়ে তেল দিয়ে হালকা করে চাপা দিয়ে ভেজে নিন। এরপর ঐ তেলের মধ্যেই সামান্য কালোজিরের সঙ্গে কাঁচালঙ্কা এবং পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ হালকা করে ভাজা হয়ে গেলে আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে দিন। আদা ও রসুনের থেকে কাঁচা গন্ধটা কেটে গেলে একে একে জিরেগুঁড়ো, লঙ্কারগুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণটিকে কষতে থাকুন মসলার কাঁচা ভাব দূর না হওয়া পর্যন্ত সঙ্গে দিবেন অল্প পরিমাণে জল।

এরপর অল্প স্বাদ পরিবর্তন-এর জন্য টমেটো কুচি দিন। এরপর হালকা আছে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মিশ্রণটিকে কুক হতে দিন। মিশ্রণটি থেকে জল শুকিয়ে এলে ভেজে রাখা বেগুন গুলিকে কড়াইয়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে বেগুন বাহার। রাতের বেলা খুব সহজেই এই রেসিপি তৈরি করে রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন বেগুনের এই মজাদার খাবার।

Tolly Tales