জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘মেডিকেল স্টুডেন্টরা সবসময় অ্যাপ্রোন পরে থাকে, এখানে সব কোমর বার করা জামা কাপড় পরে আসে !’ অবাস্তব গল্প দেখিয়ে ফের কটাক্ষের মুখে মিঠিঝোরা

‘মিঠিঝোরা'(Mithijhora) জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল। প্রাথমিকভাবে এই সিরিয়াল তিন বোনের জীবনের গল্প নিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে এই গল্পের মোর নিয়েছে অন্যদিকে। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখতে পাওয়া যায় আরাত্রিকা মাইতি, দেবাদৃতা বসু, সুমন দে, সপ্তর্ষি রায়। কিন্তু এই সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্র প্রাধান্য পাবার পাশাপাশি পার্শ্ব চরিত্রও যথেষ্ট প্রাধান্য পায়।

এই সিরিয়ালে বর্তমানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন হল সার্থকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে স্রোতের। কিন্তু এর মধ্যে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে নতুন বিয়ের সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে ভুল বোঝাবুঝির। সিরিয়ালের একটি এপিসোডে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বকাবকি করছে সার্থক। বেশ রেগে গিয়ে সার্থক বলছে, ‘অনেকক্ষণ ধরে ক্লাসের বাইরে থেকে তোমাদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।’ স্টুডেন্টরা ক্ষমা চাইলেও কোনভাবেই মানতে নারাজ সার্থক। ফলত, স্টুডেন্টরা সার্থকের কথা মান্য করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে খানিক অভিমান নিয়েও বেরিয়ে যাচ্ছে স্রোত। অবশ্য এই দৃশ্যে সার্থক যে স্রোতকে খুব একটা আটকাতে চেয়েছে তাও নয়।

Srot Sarthok

সিরিয়ালের এই এপিসোড সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দর্শকদের কাছে প্রকাশ পাওয়া মাত্রই বিভিন্ন ব্যক্তি নানা ধরনের সমালোচনা করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলে, স্যারকে কোনদিন ক্লাস নিতে দেখলাম না, শুধু চিল্লাতে দেখলাম। মেডিকেল স্টুডেন্টরা কিন্তু এপ্রোন পড়ে সব সময়, কাস্টিং ডিরেক্টর কি সেটাও জানে না?”। আবার অনেকে বলেছে, “নায়কের কোনো ধক নেই কেনো? মানে, এখানে যাকে তাকে নায়ক বানিয়ে দিচ্ছে।”

কটাক্ষের সুরে অনেক দর্শকেরাই এই দৃশ্যের মন্তব্য করেছেন। এমনকি, এক দর্শকদের এও দেখতে পাওয়া গেছে, “আমার জীবনে দেখা এটা খুবই মারাত্মক সিরিয়াল। অ্যাক্টিং এবং স্ক্রিপ্ট খুবই মারাত্মক। এই সিরিয়ালের লেখক জানেন না, তিনি নিজে কী লিখছেন।” এই সাধারণ দৃশ্যকে নিয়ে করা মন্তব্য অবশ্য খুব একটা প্রভাব ফেলেনি সিরিয়াল নির্মাতাদের ওপর। পরিচালক এইসব মন্তব্যের তোয়াক্কা না করে গল্পের সাধারণ গতি অনুযায়ী সামনের দিকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই মিঠিঝোরা ধারাবাহিক প্রেমীদের ধারণা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।