আলো ঝলমলে দুনিয়ার পিছনে অজানা বাস্তব বলিউডের (Bollywood) তারকাদের জীবন বহিরঙ্গের মতোই ঝলমলে এবং আকর্ষণীয় মনে হলেও, তাদের বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। সিনেমার সাফল্য, ভক্তদের ভালোবাসা এবং আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনের পাশাপাশি অনেক সময় তারা জড়িয়ে পড়েন অপ্রত্যাশিত সমস্যায়। ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক সম্পত্তি, কিংবা বিভিন্ন বিতর্কিত আইনি জটিলতার কারণে তাদের জীবনের সমীকরণ হঠাৎই পাল্টে যায়। তাই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই রঙিন জীবনের পিছনের গল্প কখনো কখনো ভক্তদের কাছে বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খান। চলচ্চিত্র জীবনের পাশাপাশি পতৌদি পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি এক বিশাল সম্পত্তির অংশীদার। তবে কিছুদিন আগে সাইফ ব্যক্তিগতভাবে একটি বিপদের সম্মুখীন হন। তাঁর উপর ঘটে যায় একটি হামলার ঘটনা, যা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বেশ বিপাকে ফেলে। এই ঘটনার প্রভাব কাটতে না কাটতেই, আবারও নতুন একটি সমস্যার সম্মুখীন হলেন তিনি।
বর্তমানে সাইফ আলি খান নতুন একটি আইনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮-এর অধীনে তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, যেখানে সাইফের ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় কেটেছে, এবং নুর উস সাবাহ প্যালেস, দার-আস-সালাম, হাবিবি বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেসসহ আরও অনেক সম্পত্তি।
দেশভাগের সময় যারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি বলে গণ্য করা হয়। সাইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানের বড় বোন আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও সাজিদাকে ২০১৯ সালে বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি সেই সম্পত্তির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। ফলে পতৌদি পরিবারের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তির আওতায় পড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফিরছেন ‘উমা’ ওরফে শিঞ্জিনী! অভিনেত্রী এবার কোন চরিত্রে নজর কাড়বেন দর্শকদের?
এই সমস্যাটি শুধু সাইফ আলি খান বা তাঁর পরিবারের জন্য নয়, বরং ভোপালের দেড় লক্ষেরও বেশি বাসিন্দার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, গত ৭২ বছর ধরে এই সম্পত্তিগুলির মালিকানা খতিয়ে দেখা হবে এবং যারা এই সম্পত্তিতে বাস করছেন, তাদের ভাড়াটে হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সাইফ এবং তাঁর পরিবারের মতো বহু মানুষ এই আইনি সমস্যার দ্রুত সমাধান চান।