জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ফুলকির বুদ্ধিতে ধরা পড়লো আসল দোষী! আগামী পর্বে ফুলকিতে আসতে চলেছে ধামাকাদার টুইস্ট!

ধারাবাহিক ছাড়া দিন যেন অসম্পূর্ণ থাকে মা, কাকিমাদের। সারাদিন বাড়ির কাজকর্ম করার পর টেলিভিশনের পর্দায় ধারাবাহিকের মাধ্যমে তাঁরা একটু সুখ খুঁজে নেয়। তেমনই দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের মনে রাজত্ব করা ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি অন্যতম ধারাবাহিক হলো জি বাংলার (Zee Bangla) ফুলকি (Phulki)। বেশ অনেকটা সময় ধরে টেলিভিশনের পর্দায় চলছে এই ধারাবাহিক, যা দাগ কেটেছে হাজার হাজার দর্শকদের মনে। ধারাবাহিকে রোহিত ফুলকির জুটি দর্শকদের তো এখন ভীষণ চোখের মনি। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহতেই বিভিন্ন টুইস্ট এনে টিআরপি তালিকায় দর্শকদের চমকে দেয় এই ধারাবাহিক।

ধারাবাহিকের শেষ কয়েকটি পর্বে দেখানো হয়েছে অংশু আর পারমিতার মধ্যে কি কি কথা হচ্ছে সব শুনে নিচ্ছে রিকি। কারণ সে তাঁদের বাড়িতে মাইক্রোফোন লাগিয়ে রেখেছে। অংশু পারমিতার মন ভালো করার জন্য তার পছন্দের একটা শাড়ি কিনে তাকে উপহার দিতে চায়। অন্যদিকে বাড়িতে বসে বসে রিকি অংশুর সমস্ত প্ল্যানই শুনতে পাচ্ছে। যেই শাড়ির দোকানে গিয়ে পারমিতার জন্য শাড়ি পছন্দ করে আসে অংশু ঠিক সেই সময় রিকি ওই শাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়ে কিনে আনে। তারপর রিকি পারমিতার মতন সেজে অংশুর মনে সন্দেহ তৈরি করে দেয়। আর বাড়িতে এসে অংশু পারমিতাকে ভুল বুঝে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এদিকে ফুলকিরা তো বুঝতে পারে দুজনের মধ্যে ইচ্ছে করে কেউ ঝামেলা তৈরি করছে।

Phoolki, ফুলকি, zee Bangla, zee bangla serial,

ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখানো হবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে প্রথম মাইক্রোফোনটা খুঁজে পায় রোহিত। সেই প্রমাণ দেখায় অংশুকে। অংশু নিজের ভুল বুঝতে পেরে পারমিতার কাছে ক্ষমা চায়। নিজেকে সে মনে মনে দোষ দিতে থাকে অংশু। এরপরে পরবর্তী মাইক্রোফোনটা খুঁজে পাই ফুলকির দিদি। ফুলকির দিদি গিয়ে সবাইকে সেটা দেখায়, আর সবাই যেটা সন্দেহ করছিল সেটাই ঠিক হয়। ইচ্ছে করেই কেউ অংশু এবং পারমিতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। কিন্তু সেটা কে প্রথমে সেটা খুঁজে বের করতে হবে এটাই ভাবতে থাকে সবাই।

এদিকে রিকি অংশু পারমিতার কোনো কথা শুনতে না পেয়ে যন্ত্র দুটোর ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়েছে ভাবে। তাই জন্য রাতের বেলা গিয়েই সেগুলো পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে ফুলকিরা তো আসল দোষীকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেই রেখেছে। যেখানে ফুলকিরা বাড়ির বাইরে এবং বাড়ির ভেতরে নজর রাখছিল আসল দোষীকে ধরতে। কারণ ফুলকির সন্দেহ ছিল মাইক্রোফোনে আর কিছু শুনতে না পেয়েছি যে এই কাজ করেছে সে নিশ্চয়ই আসবে দেখতে।

এরপর ফুলকির কথাই মিলে যায় এবং আসল দোষী নিজেই আসে ধরা দিতে। রিকি এসেছিলো ঠিকই কিন্তু সুন্দরীর সাজে যাতে ধরা পড়লেও বাহানা দিতে পারে। অংশু দেখে তারা যাকে আশ্রয় দিয়েছিল সেই সুন্দরী এসেছে। এরপর সবাই মিলে চেপে ধরে তাকে। হাতাহাতিতে রিকির আসল মুখোশ খুলে যায় এবং তাঁর গলার স্বরে তাঁকে সবাই চিনে ফেলে। সবাই বুঝতে পারে রিকি এতদিন সুন্দরীর ছদ্মবেশে অংশুদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছিল। আর রিকি সেই ব্যক্তি যে অংশু এবং পারমিতার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করার জন্য এই সমস্ত কাজ করেছে। ফুলকি রিকিকে এই কাজ করার জন্য যেখানে সেখানে মারতে থাকে। তখন রিকি বলে সে চায় না অংশু পারমিতা ভালো থাকুক, তাই জন্য এই কাজ করেছে। এরপর ফুলকিরা রিকিকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও সে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করে যে অংশু আর পারমিতার জীবনে সে আবার ফিরে আসবে এবং তাঁদের কোনোদিন সুখে থাকতে দেবে না। এবার দেখার অপেক্ষা আগামী পর্ব কোন টুইস্ট নিয়ে আসে।

Piya Chanda