বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক পরিণীতা (Parineeta) দর্শকদের মন জয় করে চলেছে নিত্যদিন। এই ধারাবাহিকি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঈশানী চ্যাটার্জি ও উদয় প্রতাপ সিং। বেশিদিন হয়নি এই ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে দর্শকদের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় টিআরপি তালিকাতেও শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এই ধারাবাহিক।
পরিণীতা খ্যাত ঈশানী চ্যাটার্জীর ছোটবেলার গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। জানা যায়, তিনি এক সাধারণ পরিবারে বড় হয়েছেন ছোটবেলায় থেকেছেন এক কামরার ঘরে। তাঁর বাবা কন্টাকটরের কাজ করতেন ও মা সেলাইয়ের। কঠিন পরিস্থিতি তাঁর জীবনে চ্যালেঞ্জ ছিল বটে, তবে তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। সেই ছোটবেলার সংগ্রামই হয়তো তাঁকে আজকের সফল অভিনেত্রী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। ঈশানীর এই জীবনসংগ্রাম শেখায় প্রতিকূলতা যতই থাকুক না কেন, মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম মানুষকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
মডেলিং দিয়ে নিজের অভিনয় জগতের পথচলা শুরু করেছিলেন ঈশানী। বিভিন্ন ব্রান্ডের মডেলিং করেছেন এমনকি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানও দখল করেছিলেন তিনি। পরিণীতার সিরিয়ালে ঈশানী চ্যাটার্জীর চরিত্রটি অনেকের মন জয় করেছে। কিন্তু তার ছোটবেলার গল্প শুনলে বোঝা যায়, জীবনের লড়াই তাকে কতটা দৃঢ় করেছে। ঈশানীর ছোটবেলা ছিল সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। তাঁর মায়ের ইচ্ছে ছিল তাকে ডাক্তার বানানোর কিন্তু অভাব অনটনের জন্য সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি তিনি।
সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে খেলতে এসেছিলেন ঈশানী। সেখানেই নিজের জীবনের সংগ্রামের আরেকটা দিক তুলে ধরেছে ঈশানী। রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তার ছোটবেলার কথা। ঈশানী বলেন, “ছোটবেলায় যখন পড়াশোনা করতাম তখন একটি স্টলে বসে পড়াশোনা করতাম। পরে সেই স্টলটা মুদির দোকানে পরিবর্তন করা হয়। সেই মুদির দোকানে আমি বসতাম, সেখানে জিনিসপত্র বিক্রি করতাম, পড়াশোনাও করতাম সমস্ত আমি দেখতাম। তারপর বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যাওয়া হয়। কিন্তু যাওয়ার পথে বাবা মারা যান। আজ পাঁচ মাস হলো বাবা আমাদের মধ্যে নেই।”
আরও পড়ুনঃ ফুলকির বুদ্ধিতে ধরা পড়লো আসল দোষী! আগামী পর্বে ফুলকিতে আসতে চলেছে ধামাকাদার টুইস্ট!
ঈশানীর এই সংগ্রামী জীবনের অভিজ্ঞতাই তার চরিত্রকে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী করেছে। ছোটবেলা থেকেই সে বুঝে গিয়েছিল যে সাফল্য পেতে হলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরবর্তী সময়ে অভিনয় জগতে পা রাখার সাহস ও দৃঢ়তা এই সংগ্রাম থেকেই সে অর্জন করেছে। আজ পরিণীতার ঈশানী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা সেই কষ্টের জীবনের প্রতিফলন। তার গল্প অনেক তরুণ-তরুণীকে জীবনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। সংগ্রামের পথ থেকেই আসে সাফল্যের আসল স্বাদ—এটাই ঈশানীর জীবন নতুন প্রজন্মকে শেখায়।