জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তুমুল লড়াই করা মা স্বপ্ন দেখেছিলেন মেয়ে চিকিৎসক হবে! অভিনয় পেশা প্রথমে মা মেনে না নিলেও এখন পরিচিত হয়েছেন মেয়ের পরিচয়ে! অকপট ঈশানী

জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘পরিণীতা (Parineeta)’ সম্প্রতি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে বেঙ্গল টপার হয়েছে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র পারুলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন নবাগত অভিনেত্রী ঈশানি চ্যাটার্জি (Ishani Chatterjee)। দুর্গাপুরের মেয়ে ঈশানি কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘পরিণীতা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

ধারাবাহিকটির গল্পে দেখা যায়, পারুল গ্রামের মেয়ে, যার বিয়ে হয়েছে শহরের এক পরিবারে। সে শহরের একটি কলেজে ভর্তি হয়, যেখানে তার আঞ্চলিক ভাষার টানের কারণে সহপাঠীদের উপহাসের শিকার হতে হয়। এমনকি তার স্বামী রায়ানও তাকে অবহেলা করে এবং পরিবারের সামনে অপমান করে। তবে পারুলের মেধা ও আত্মবিশ্বাস তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

ishani in parineeta serial

ঈশানি চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত জীবনের সংগ্রামও কম নয়। ছোটবেলায় তার বাবা অল্প বয়সে মারা যান, যার ফলে মা ও মেয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস, বর্ষাকালে ঘরের চারিদিকে জল পড়া—এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ঈশানির মা সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েকে ভালো স্কুল-কলেজে পড়িয়েছেন। ঈশানি নিজেও মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন এবং অবশেষে অভিনয়ে সুযোগ পেয়েছেন।

এদিন একটি সাক্ষাৎকারে ধারাবাহিক নিয়ে প্রত্যেকটা চরিত্র যে পরিশ্রম করে তার কথা বলেছে অভিনেত্রী ঈশানী তাঁর সঙ্গে ছিলেন ধারাবাহিকের হরি কাকা। তিনি বলেন, “আমাদের যিনি ডিরেক্টর কৃষ দা তিনি না থাকলে কোনকিছুই সম্ভব হতো না, প্রত্যেকটি চরিত্রের ফিনিশিং থেকে শুরু পর্যন্ত সবটাই তার নিজের হাতে করা। পাশাপাশি সৌভিক দা অর্থাৎ আমাদের গল্পটা যিনি লিখেছেন, তার কথা না বলকেই নয়। এত সুন্দর করে চরিত্র সাজিয়ে দিয়েছেন যেটা খুবই অসাধারণ”।

সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন ঈশানির মা ও বৌদি। তাঁর মা প্রথমে মেয়ের অভিনয়ে আসার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার মেয়ে পড়াশোনাটা সম্পূর্ণ করুক। তবে মেয়ের ইচ্ছা ও প্রতিভা দেখে তিনি সমর্থন দেন। ঈশানি নিজেও মায়ের এই সমর্থনকে তার সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ঈশানি কলকাতায় থাকেন, আর তার মা দুর্গাপুরে সেলাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার ইচ্ছে রয়েছে ঈশানীর।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।