জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাবার জন্মদিনে মৃত্যুর গুজব! ‘এমন মূর্খতা মেনে নেওয়া যায় না, গ্রেফতার করা উচিত’—ভুয়ো খবরে ক্ষুব্ধ সুজন মুখোপাধ্যায়!

সদ্য ৮৮ বছরে পা দিয়েছেন কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব অরুণ মুখোপাধ্যায়। জন্মদিনের বিশেষ মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর ছেলে, অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায়। যিনি পরিচিত নীল মুখোপাধ্যায় নামেও। ‌সম্প্রতি বাবার সঙ্গে নাটকের মহড়ার একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তাঁরা দুজনে একসঙ্গে “জগন্নাথ” নাটকের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে সুজন লেখেন, “অরুণ মুখোপাধ্যায়ের ৮৮তম জন্মদিন উদযাপন। জগন্নাথ নাটকের শেষ দৃশ্যের অভিনয় একসাথে। এক অকল্পনীয় অনুভূতি। এ আর হবে না, তাই ভাগীদার সবার সাথে… এটা থেকে যাক।” এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয় এবং তাঁর অনুরাগীরা আবেগঘন মন্তব্য করতে থাকেন।

তবে এই পোস্টের পরই এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট করেন, যেখানে দাবি করা হয় যে অরুণ মুখোপাধ্যায় আর বেঁচে নেই। তিনি তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র ও পুরস্কারের তালিকা উল্লেখ করে লেখেন, “অরুণ মুখোপাধ্যায় আজ আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন।” এই ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের নজরে আসতেই তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

সুজন তাঁর ফেসবুক পাতায় ওই ব্যক্তির পোস্ট শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং লেখেন, “এই ভদ্রলোককে গ্রেপ্তার করা উচিত। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি সম্পর্কে এমন মূর্খতা? কীভাবে মানুষ এতোটা ভুলভাল হতে পারে? ফেসবুক সংস্কৃতির এক ভয়ানক দিক এটি।” তিনি আরও লেখেন, “কোন অধিকারে এই তথ্য প্রকাশ করা হলো? এমন মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি শুধুমাত্র ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য ক্ষুব্ধ নন, বরং এ ধরনের অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এই ঘটনার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সুজন জানান, “চারিদিকে এত অশিক্ষা কী বলব! আমি একদিকে বাবার জন্মদিন উদযাপন করছি, আর অন্যদিকে কেউ তাঁকে মৃত বলে প্রচার করছে। এ কোন ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত কাজ?” তিনি আরও বলেন, “এটাই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার আমার বাবাকে নিয়ে এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, তবে এবার বিষয়টি লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা নিয়ে বহুবার আলোচনা হলেও এখনো তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। সুজন মুখোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রকাশ সেটাই আরও একবার সামনে নিয়ে এলো। এই ধরনের গুজব ও ভুল তথ্য শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে মানসিকভাবে আঘাত করে না, বরং সামাজিক দায়িত্ববোধের অভাবকেও সামনে তুলে ধরে। অভিনেতার মতে, এ ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়।

Piya Chanda