জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আমাকে পায়েস খাওয়ানোর জন্য আজ আর কেউ বেঁচে নেই! শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকতে ভালো লাগে না! জন্মদিনে আবেগে ভাসলেন সাবিত্রী দেবী

বাংলা বিনোদন জগতের আকাশে জ্বলজ্বল করছে অসংখ্য নক্ষত্র। উত্তম-সুচিত্রার রোমান্স, সৌমিত্র-অপর্ণার অভিনয়, সাবিত্রী-সন্দীপা-সাবানার প্রতিভা—এই তারকারা বাংলা সিনেমার সোনালি অধ্যায় রচনা করেছেন। সময় বদলেছে, নতুন প্রজন্ম এসেছে, কিন্তু এই উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আলো আজও ম্লান হয়নি। তাঁদের কাজ, তাঁদের ব্যক্তিত্ব, তাঁদের স্মৃতিচারণ এখনো বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। এই রত্নসম মানুষদের মধ্যেই একজন হলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee) যিনি আজও দর্শকের মনে অমলিন।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক অনন্য নাম। ষাটের দশকে যিনি নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’, ‘বাঘিনী’-এর মতো সিনেমায় তাঁর অসাধারণ অভিনয় আজও মানুষ মনে রেখেছে। তিনি বহু সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে পদ্মশ্রী ও বঙ্গবিভূষণ। অভিনয় জীবনে তিনি যেমন সফল, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি আত্মনির্ভর ছিলেন। সংসার না করেও আপনজনদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

image 1

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সকাল থেকেই ফোনের পর ফোন এসেছে শুভেচ্ছা জানিয়ে। তবে নিজে খুব একটা উৎসব করতে পছন্দ করেন না। এদিন সকালে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বয়স হয়েছে, এখন আর জন্মদিন পালন করি না। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে, সন্ধ্যায় সেখানে যাব।’’ ছোটবেলায় বাড়িতে পায়েস রান্না করে জন্মদিন পালন হত। কিন্তু এখন আর সে সব হয় না বলে জানালেন তিনি।

জন্মদিন মানেই কেক কাটা, তবে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় সেটা একেবারেই করেন না। নিজেই লাজুক গলায় বলেন, ‘‘আমার কেক কাটতে খুব লজ্জা করে। ছোটরা করলে দেখতে ভালো লাগে, কিন্তু আমার বয়সে কেক কাটাটা মানায় না।’’ তবে মানুষ যে তাঁকে মনে রেখেছে, সেটাই তাঁর কাছে বড় পাওয়া। ‘‘ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সবাই, এটুকুই আমার আনন্দ,’’ বললেন অভিনেত্রী।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় আজও অভিনয়ে ফিরতে চান। কিন্তু কেউ তাঁকে কাজের প্রস্তাব দেন না। কিছুটা হতাশ গলায় তিনি বলেন, ‘‘বয়স হয়েছে, তাই অনেকেই ভাবে, যদি হঠাৎ মারা যাই! তাহলে কাজটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’’ মৃত্যুর গুজবও নাকি রটেছে তাঁর নামে! ‘‘এখন আর কেউ বলে না দীর্ঘজীবী হও,’’ আক্ষেপের সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। তবে অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা আজও অটুট রয়ে গেছে তাঁর মনে।

Piya Chanda