অবশেষে, রায় চৌধুরী বাড়িতে সসম্মানে ফিরলো বাড়ির কর্তা এবং বাড়ির মেয়ে। আজকের এপিসোডে দেখা যাবে খানিক এই দৃশ্য। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকে বিগত কয়েকটি পর্ব জুড়ে চলছে টানটান উত্তেজনা। সজল বাবুর মৃত্যুর কারণে থানার হেফাজতে ছিল লাবু এবং জেঠু মনি।
গল্পের শুরুতে দেখা যাচ্ছে, ধানু কোর্টে প্রমাণ করে দেয় লাবু কোনমতেই গুলিটা চালায়নি। এটা আবার আদালতে রুদ্রর সামনে দাঁড় করিয়ে প্রমাণ করে। এই দেখে জজ সাহেবের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, কে আসল দোষী? কিন্তু অন্যদিকে আবার রুদ্র ভাবতে থাকে সে কোন মতেই মাস্টার মশাই আর লাবুকে জেল খাটাতে পারল না। আবার এও ভাবতে থাকে শেষ পর্যন্ত তার নাম সবার সামনে চলে আসবে না তো!

জজ সাহেব সবকিছু দেখে বোঝার পর লাবু এবং মাস্টার মশাইকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। সমস্ত কিছু কাজের শেষে বাড়ির সবাই যখন মাস্টারমশাই এবং লাবুকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি সেই সময় সামনে এসে হাজির হয় রুদ্র। মোক্ষম সুযোগ পেয়ে লাবুর দলের লোকেরা রুদ্রকে জুতোপেটা করে। এই সময়ে রাগের চোটে চিৎকার করতে থাকে রুদ্র এবং বলে ‘কার এত সাহস যে আমাকে জুতোপেটা করে? সাহস থাকলেই সামনে এসো।’
এই সময় ফুলকি বলে ওঠে, ‘জামাইবাবু তুমি তো এত কিছু করেও তো পারলে না তোমার অসম্মানটা আটকাতে। তুমি চেয়েছিলে জেঠুমনিকে জুতোপেটা করতে, কিন্তু তুমি তো নিজেই জুতোপেটা খেলে সবার কাছে। আর আজকের পর এটা মনে রেখো, দিদিভাই আর জেঠুমনি কে যেমন নির্দোষ প্রমাণ করেছি এরপর দাদাভাইয়ের কিভাবে খুন হয়েছে সেটা সামনে আনবোই। আর তোমাকে আমি জেল খাটিয়ে ছাড়বো’।
আরও পড়ুনঃ মধুচন্দ্রিমায় মৃত্যু হবে অনির্বাণের! রাইকে বিধবা দেখিয়েই শেষ হবে মিঠিঝোড়া
ফুলকির কথা শুনে রুদ্র দুঃসাহস দেখিয়ে বলে, ‘যা করার করে নাও তোমরা কিছুই করতে পারবে না’। এই শুনে ফুলকি আরো নিশ্চিত হয়ে যায় যে জামাইবাবু আরো কোথাও প্রমাণ লোপাট করেছে। কিন্তু সে কোনোমতেই জামাই বাবুকে ছাড়বে না বলে মনস্থির করে। দাদাভাইয়ের মৃত্যুর জন্যই যে জামাইবাবু দায়ী এবার এটা সবার সামনে আনবে ফুলকি। ফুল কি আরও বলে ‘জামাইবাবু চেয়েছিল এই সব ঘটিয়ে তদন্ত আটকে রাখবে কিন্তু আমি সেটা হতে দেবো না’। এই সময় রোহিত বলে ‘আমিও তোমার সাথে আছি ফুলকি। এবার রুদ্রর মুখোশটা সবার সামনে টেনে খুলতেই হবে’। এই এপিসোড থেকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত হয়ে গেছে সিরিয়াল প্রেমীরা তবে আগামী দিনে কি হতে চলেছে? রুদ্রর সব জারিজুরি কি ফাঁস হতে চলেছে?