জি বাংলার “জগদ্ধাত্রী” এক সাহসী ও বুদ্ধিমতী মেয়ের গল্প, যে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জগদ্ধাত্রী মুখোপাধ্যায় (অঙ্কিতা মল্লিক) বাইরে থেকে এক সাধারণ মেয়ে, কিন্তু গোপনে সে একজন দক্ষ অপরাধ তদন্তকারী অফিসার। তার জীবনে আসে স্বয়ম্ভু (সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়), যে ধীরে ধীরে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। একদিকে পারিবারিক দায়িত্ব, অন্যদিকে পেশাগত জীবনের চ্যালেঞ্জ— এই দুইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে জগদ্ধাত্রীকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে ধারাবাহিকে তাদের মেয়ে দুর্গা ফিরে এসেছে মায়ের উপর হওয়া সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে। দুর্গা কি ফিরে পাবে তার পরিবারকে? সেটাই এখন দেখার।
জি বাংলার জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালে আজকের পর্বে শুরুতেই দেখানো হয় একজন লোক ভাড়া করে দুর্গা আবারো হুমকি দিচ্ছে মুখার্জি পরিবারের সকলকে। ঠিক তারপরেই কালিবুড়ো সেখানে এসে দুর্গাকে বলে সতর্ক হতে, কারণ তার বাবা স্বয়ম্ভূ সেখানে তল্লাশি নিতে এসেছে। এই দেখে দুর্গা তাকে জিজ্ঞেস করে কি দেখে সে বুঝলো যে তার বাবা এখানে তল্লাশি করতে এসেছে। কালিবুড়ো তখন বলে, “স্বয়ম্ভুকে আমি ছোট থেকে মানুষ করেছি ও কখন কি ভাবছে কি করছে সবটাই আমি বুঝতে পারি।” এরপর দুর্গা বলে, “তুমি কিছুক্ষণের জন্য ওনাকে ব্যস্ত রাখো আমি দেখছি কি করা যায়”। উঁকি দিয়ে নিজের বাবাকে দেখে দুর্গা একপ্রকার মুগ্ধ হয়ে যায় বলে, “আমার মা বেছে বেছে একদম সুন্দর লোককে জীবন সঙ্গী বানিয়েছে।”

কালি বুড়ো তখন বলে এসব না ভেবে আসল কাজে মন দিতে। দুর্গা তাকে বলে, “তুমি তো আসলে সংসার করনি রাস্তা থেকে তুলে এনে, বাচ্চা পালন করো। তুমি কি করে বুঝবে”। এবার তিনি কিছুটা দুঃখিত কণ্ঠস্বররে দুর্গাকে বলে, “রাস্তা থেকে তুলে এনে মানুষ করেছি ঠিক যেমন কাকের বাসায় কোকিলে ডিম পাড়ে তারপর বড় হলে আস্তে আস্তে সেই বাসা ছেড়ে চলে যায়। তুইও তো একদিন মুখার্জি বাড়িতে চলে যাবি”। এরপর তিনি গিয়ে স্বয়ম্ভুকে খাবার খাওয়ার অনুরোধ করেন। অনেকদিন বাদে দেখা হয়েছে তার সাথে অনেক কথা বলবে এমন কথা বলেন। কিন্তু স্বয়ম্ভু কোন কিছুতেই খুব একটা গুরুত্ব দেয় না, কি যেন একটা খুঁজতে থাকে।
এমন সময় তিনি বলেন, “তুই কি এখানে রেড করতে এসেছি?” স্বয়ম্ভু অবাক হয়ে গিয়ে বলে, “এই কথা তো তোমার মাথায় আসার না এই কথা তোমার মাথায় আসলো কি করে?” তখন কালিবুড়ো বলে, “ছোট থেকে তোকে আমি বড় করেছি আর এইটুকু বুঝবো না।” এরপর কোন কথা না বাড়িয়েই স্বয়ম্ভু বলে এই বাড়ি থেকে অনেকগুলো ফোনের সিগনাল পাওয়া গেছে। কার কার ফোন আছে এই বাড়িতে? এইবার কালিবুড়ো কি করবে বুঝতে না পেরে বলে, “একা আমারি আছে”। কিন্তু স্বয়ম্ভু কিছুতেই মানতে চায় না আর বলে, “আশ্রমে সব বাচ্চাদের ডাকো সবার সাথে আমি আলাপ করব”।
আরও পড়ুনঃ সাধুবাবা সেজে চুরি করছে কে? পরিণীতায় এবার রহস্য ফাঁস করবে পারুল! নতুন মোড় নেবে নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক!
এবার সব বাচ্চারা আসলে সেখান থেকে আরও কয়েকটা ফোন উদ্ধার হলেও যেই ফোনটা সিগন্যাল খুঁজতে খুঁজতে এসেছে স্বয়ম্ভু, সেটা পাওয়া যায় না অন্যদিকে দুর্গা তার সমস্ত ফোন একটা কাপড়ে পুঁটলি করে লুকিয়ে রাখে। এরপর স্বয়ম্ভু বিরক্ত হয়ে তার পুলিশ ফোর্স এর সকল লোকদের ভেতরে ডেকে আনে। কালিবুড়ো এবার প্রচন্ড রেগে গিয়ে স্বয়ম্ভুকে বলে, “তুই যদি ভেতরে পুলিশ ঢোকাস তাহলে জেনে রাখবি আমার সাথে তোর আর কোন সম্পর্ক নেই”। কিন্তু স্বয়ম্ভু কাজ নিয়ে একদম আপোষ করে না, তাই সে ঢুকাতে বাধ্য হয়।
এবং একটি ফোন উদ্ধার হয় কিন্তু কোনো মেয়ে অথবা যেমনটা সে ভেবেছিল তেমনটা পায় না। এবার কালি বাবুকে গ্রেফতার করতে হবে ভেবে স্বয়ম্ভু ভেঙে পড়ে এবং বলে, “থানায় নিয়ে গিয়ে ওনার ভালো করে আদর যত্ন করবে, যেন কোন ত্রুটি না হয়”। কিন্তু পরবর্তী মুহূর্তেই বলে, “দরকার নেই বরঞ্চ আশ্রমটা চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেল। কেউ যেন না বাইরে বেরোতে পারে।” অন্যদিকে স্বয়ম্ভূর ভাই তার মাকে গিয়ে একটা ছবি দেখায় সেই ছবিতে জগদ্ধাত্রী গলার হার কালি বাবুর আশ্রমে এক মেয়ের গলায় দেখা যায়। এবং সবাই ভাবতে থাকে এই মেয়েই হয়তো দুর্গা। এই উত্তেজনা মুহূর্তে পর্বটি শেষ হয়।