জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) শুরুর দিন থেকেই দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে। অসমবয়সী প্রেমের এই গল্পে অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) এবং জিতু কমল (Jeetu Kamal)। প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভালো টিআরপি অর্জন করেছে ধারাবাহিকটি, এবং প্রতিপক্ষদের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলেছে।
মরাঠি এবং তেলুগু ধারাবাহিকের রিমেক হলেও, বাংলা সংস্করণে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদিও গল্পের মূল কনসেপ্টে পুনর্জন্মের ইঙ্গিত রয়েছে, তবে নির্মাতারা নায়ক আর্যর (Arya) চরিত্র নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দর্শকদের আগ্রহ বাড়াচ্ছেন। প্রচলিত গুজব অনুযায়ী, মূল সংস্করণে নায়ক ছিল এক সময়ের খলনায়ক, যে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল। কিন্তু বাংলা সংস্করণে গল্পের মোড় কীভাবে ঘুরবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ইতিমধ্যেই দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, অপর্ণার (Aparna) পূর্বজন্মের স্মৃতি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে, এবং সে আর্যর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে।তবে অনেকেই চান, বাংলা সংস্করণে গল্পটিকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করা হোক, যেখানে আর্য পুরোপুরি খলনায়ক না হয়ে, অন্য কোনো নতুন রহস্য যুক্ত থাকবে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রোমোতে গল্পের গভীরতার আরও ইঙ্গিত মিলেছে। দর্শকমহল ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে একে ঘিরে।
আরও পড়ুনঃ পারুল-রায়ানের থেকেও পার্শ্ব চরিত্রে নজরকারা গোপাল-রুক্মিণী জুটি! মুগ্ধ দর্শকরা
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, আর্য ও অপর্ণা একসঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছে। ঠাকুরের মূর্তি দেখে প্রণাম করে অপর্ণা, আর্য প্রশ্ন করে— “কি চাইলে গো ঠাকুরের কাছে?” অপর্ণার সহজ উত্তর, “সব সময় কি কিছু চাইতেই হয়? না চাইতেই যা পেয়েছি, তার জন্য ধন্যবাদ জানালাম।” এই কথাটি শোনার পরই স্তব্ধ হয়ে যায় আর্য, যেন সে বহু বছর আগেও একই কথা শুনেছে। তার চোখেমুখে বিস্ময়ের ছাপ স্পষ্ট! তার দৃষ্টির মধ্যে রহস্যের ছায়া স্পষ্ট।
এতেই দর্শকদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে— তবে কি অপর্ণার মুখে সেই একই কথা শোনার পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো অতীতের যোগসূত্র? নাকি আর্য নিজেই কিছু গোপন করছে? তার অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণ কী? গল্প কি এবার সত্যিই পুনর্জন্মের পথে এগোচ্ছে? নাকি নতুন কোনো রহস্য উন্মোচিত হতে চলেছে? এই নতুন মোড়ের জবাব পেতে হলে চোখ রাখতে হবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০ টা, শুধুমাত্র জি বাংলায়!