জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রুবেলের আচরণে কেঁদে ভাসালেন শ্বেতা! বিয়ের দু’মাসেই সম্পর্কের বাঁধনে টান! তাল কাটল প্রেমের?

টেলিভিশনের পর্দায় একসঙ্গে যেমন জনপ্রিয়, বাস্তব জীবনেও তেমনই পছন্দের জুটি তাঁরা। বলছি ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’ (Sweta Bhattacharya) ‘রুবেল দাস’ (Rubel Das) এর কথা। ১৯ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা, আর বিয়ের পর থেকেই কাজ ও ভালোবাসার দৌড়ে সমান গতিতে এগিয়ে চলেছেন। শ্বেতা এখন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন, রুবেলও ব্যস্ত ‘তুই আমার হিরো’র সেটে। তবে ব্যস্ততার মাঝেও একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সাপোর্টে এতটুকু খামতি নেই।

কিছুদিন আগেই ‘সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডসে’ রুবেল পুরস্কার পেলে গর্বে চোখ ভিজে ওঠে শ্বেতার, ক্যামেরা হাতে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে এই মিষ্টি সম্পর্কেই সম্প্রতি দেখা দিল একটু টানাপড়েন। সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন মাত্র দু’মাস, এর মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তুললেন এই তারকা দম্পতি! রুবেলের এক আচরণে এতটাই কষ্ট পেয়েছেন শ্বেতা, যে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী!

তাহলে কি বিয়ের এত তাড়াতাড়ি সম্পর্কে দেখা দিল ছেঁদ? সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি বসে শ্বেতার কথায় উঠে এল অভিমান আর কষ্টের সুর। জানান, একদিন নিজের শুটিং শেষ করে গিয়েছিলেন রুবেলের ফ্লোরে, ভাবলেন একটু দেখে আসবেন স্বামীর কাজ। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন রুবেল ব্যস্ত। বিরক্ত না করে চুপচাপ ফিরে আসেন নিজের ঘরে। আর সেখানেই শুরু হয় মান-অভিমানের পালা। শ্বেতার কথায়, “আমি ফিরে আসার পর থেকে অপেক্ষা করছিলাম রুবেল অন্তত ফোন করবে বা খোঁজ নেবে…

কিন্তু না। মনে হচ্ছিল আমি বুঝি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।” কষ্টে গলাও ভিজে ওঠে তাঁর। অন্যদিকে, রুবেল জানিয়েছেন তিনিও ঠিক শুটিং শেষ করেই খোঁজে বেরিয়েছিলেন শ্বেতার, কিন্তু তখন শ্বেতাও বিজি হয়ে পড়েন নিজের কাজ নিয়ে। এই সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকেই তৈরি হয় মান-অভিমান, টেলিপাড়ার চলে মান-অভিমান পর্ব! শেষে রুবেলই রীতিমতো ‘হাতে-পায়ে ধরে’ স্ত্রীকে বুঝিয়ে ফেরান।

তবে রুবেল বলেন, “ও খুব আদুরে, ছোট থেকেই পেমপারড ছিল। একটু এদিক-ওদিক হলেই চোখে জল এসে যায়।” প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নেন যে তিনি শ্বেতাকে রীতিমতো হাতে পায়ে ধরে ম্যানেজ করতে বাধ্য হন। তবে এই সব অভিমান আর আদুরে ঝগড়ার মধ্যেই রয়েছে ভালবাসার গভীরতা। রুবেল মজা করে বলেন, “আমরা দুজনেই ছেলেমানুষ, তবে শ্বেতা একটু বেশিই!” এই টুকরো কথাগুলোই বুঝিয়ে দেয়, ছোট ছোট খুনসুটির মধ্যেই জমে ওঠে তাদের সম্পর্কের রং।

চোখের জল, অভিমান—সবকিছু পেরিয়ে আবার একসঙ্গে পথ হাঁটার নামই তো ভালোবাসা! সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সাক্ষাৎকারের ঝলক ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা বলছেন, “তাদের প্রেম যেমন মিষ্টি, তেমনই বাস্তব!” সম্পর্কের ছোট ছোট মুহূর্তের মধ্যে দিয়েই আরও গভীর হচ্ছে বন্ধন, আর এভাবেই হয়তো হাজার অভিমানেও ভালোবাসার জয় হয় প্রতিবার।

Piya Chanda