জি বাংলার (zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (parineeta) এখন দর্শকদের মনে তৈরি করেছে বিশেষ জায়গা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই ধারাবাহিকের টানটান পর্বে মিলছে রহস্য, সম্পর্কের টানাপোড়েন আর রুদ্ধশ্বাস করা সমস্ত টুইস্ট। বর্তমানে পারুল, শিরিন, তূর্য, রায়ান, দাদু – এই চরিত্রদের মধ্যে সম্পর্কের ওঠাপড়া ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে। পরিবার ও অতীতের বহু লুকনো গল্পও ধীরে ধীরে সামনে আসছে।
গত পর্বে দেখা যায়, ১লা বৈশাখ উপলক্ষে পারুলদের সোনার দোকানে হচ্ছে বিশেষ পুজো। সেখানে উপস্থিত ছিল পারুলের বন্ধুরা। দাদু সবাইকে সাদরে গ্রহণ করলেও তূর্যর প্রতি ছিল তাঁর আলাদা আকর্ষণ। কিন্তু তূর্যর মনে তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। কারণ, তার দাদুকে যে খুন করেছিল, সেও একজন সোনার দোকানের মালিক ছিল। এরপর দেখা যায়, পারুলদের দোকানের ক্যালেন্ডারে দাদু তার ব্যবসায়িক সঙ্গীদের ছবি দিয়েছেন যাদের ছাড়া তিনি কিছুই করতে পারতেন না। সেই ছবিতেই তূর্য দেখে তার দাদুর কাঁধে দাদুর হাত রাখা রয়েছে।
তূর্য প্রশ্ন করে, এই মানুষটি কি দাদুর খুব কাছের ছিলেন? দাদু বলেন, একসময় তাই ভাবতেন। কিন্তু পরে বুঝেছেন, তিনিই ছিলেন বিশ্বাসঘাতক। তারপরেই সামনে আসে দাদুর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। একসময় তিনি আসানসোলে একটি দোকানে কাজ করতেন, পরে নিজের অপমানের কারণে চলে আসেন কলকাতায় এবং শুরু করেন নতুন ব্যবসা। সেখানে তাঁর পরিচয় হয় তূর্যর দাদুর সাথে। কিন্তু একদিন দাদুর বিশ্বাস ভেঙে তূর্যর দাদু কারচুপি করেন, আর এক রাতে গাড়িতে ফিরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারান তূর্যর দাদু ও চালক। এই চালকের ছেলেই এখন পারুলের ছোট কাকা। গল্প শুনে পারুল বলে, দাদুর প্রতি তার সম্মান আরও বেড়ে গেল।

পরিণীতা আজকের পর্ব ১৮ এপ্রিল (parineeta today episode 18 April)
আজকের পর্বে দেখা যাবে, পারুলের জীবনে আসছে নতুন ঝড়। কলেজে এক অদ্ভুত ঘটনায় ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। দেখা যায়, শিরিন নামে এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে পারুল তাকে মারধর করেছে, এমনকি শিরিনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে শিরিন কোমায় চলে যায়। কলেজজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই চাঞ্চল্যকর খবর।
আরও পড়ুনঃ খু’নির মেয়ে জোনাকি! মিত্তির বাড়ি থেকে জোনাকিকে বের করে দিল ধ্রুব! নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে সে?
তবে পারুল চুপ করে থাকেনি। সে দৃঢ়ভাবে জানায়, সে প্রথমে কখনও হাত তোলেনি এবং এটা একেবারে ষড়যন্ত্র। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে সে দু’দিন সময় চায় যাতে সমস্ত সত্যি সামনে আনতে পারে। একদিকে রায়ান ও তার বন্ধুরা পারুলকে কলেজ থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা করে চলেছে, অন্যদিকে তূর্যর মনেও ছড়াচ্ছে প্রতিশোধের আগুন। দেখা যাক, পারুল কি পারবে নিজের নির্দোষিতা প্রমাণ করতে, নাকি কলেজ ছাড়তে হবে তাকে? উত্তরের অপেক্ষায় দর্শকরা।